হুগলির সাহাগঞ্জে চুরির উপদ্রব! ডানলপ শ্রমিক মহল্লায় গায়েব হচ্ছে ফ্যান-আসবাবপত্র, আতঙ্কে বাসিন্দারা

হুগলির সাহাগঞ্জে চুরির উপদ্রব! ডানলপ শ্রমিক মহল্লায় গায়েব হচ্ছে ফ্যান-আসবাবপত্র, আতঙ্কে বাসিন্দারা

হুগলি জেলার সাহাগঞ্জ।বন্ধ ডানলপ কারখানার শ্রমিক মহল্লায় পরপর চুরির ঘটনা।সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে।স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছেন চোরের দৌরাত্ম্য নিয়ে।ফাঁকা কোয়ার্টার ও জনশূন্য কারখানা চত্বর এখন চোরদের আদর্শ আস্তানা।হুগলি চুরির খবর : সাহাগঞ্জের শ্রমিক মহল্লায় রাতে চোরেরা বাড়ি থেকে ফ্যান, আসবাবপত্র, এমনকি তামার তার পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।

চুরির আতঙ্কে ডানলপ শ্রমিক মহল্লা

হুগলির সাহাগঞ্জের প্রায় এক দশক ধরে বন্ধ ডানলপ কারখানা এখন নিঃস্তব্ধ এলাকা। একসময় দেশের প্রথম টায়ার কারখানার গৌরব আজ স্মৃতিমাত্র। বর্তমানে সেই কারখানার শ্রমিক মহল্লা পরিণত হয়েছে চোরেদের আঁতুড়ঘরে। রাত নামলেই ভয়, সকালে অজানা ক্ষতি—এমনই দিন কাটছে বাসিন্দাদের।

ফাঁকা কোয়ার্টারেই চোরদের হানা

বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সামান্য কিছুক্ষণের জন্য ঘর ফাঁকা রাখলেই চোরের দল ঢুকে পড়ছে। আসবাবপত্র, ফ্যান, ইলেকট্রিক তার—সবই উধাও হয়ে যাচ্ছে চোখের পলকে। সোনা-গয়না নয়, বরং লোহা, তামা আর ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রই এখন চোরদের প্রধান টার্গেট।

বন্ধ কারখানা থেকে চুরি শুরু হয়েছিল বহু আগেই

ডানলপ কারখানা বন্ধ হওয়ার পরই চুরির ইতিহাস শুরু। প্রথমে কারখানার ভিতর থেকে যন্ত্রাংশ চুরি হয়। ২০১৭ সালে হাইকোর্ট লিকুইডেশনের নির্দেশের পর কারখানার অবশিষ্ট সম্পত্তি নিলাম হলেও চুরির প্রবণতা কমেনি। উঁচু পাঁচিল ঘেরা এই নির্জন এলাকা এখন অপরাধীদের নতুন আশ্রয়স্থল।

পুলিশের কাছে অভিযোগ, বাড়তি টহলের দাবি

বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানিয়েছেন এই বাড়তে থাকা চুরির কথা। তাঁদের দাবি, রাতে টহল বাড়ানো হোক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হবে এবং সন্দেহভাজনদের খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে।

হুগলির সাহাগঞ্জে ডানলপ কারখানার শ্রমিক মহল্লায় চুরির আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাত নামলেই চোরের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। ফাঁকা কোয়ার্টার লক্ষ্য করেই চুরি হচ্ছে ফ্যান, আসবাবপত্র ও তামার তার। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের কাছে টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

Leave a comment