পেট্রোল-ডিজেল নয়, চার্জও নয়! জলেই চলবে টাটার নতুন হাইড্রোজেন বাস, দূষণ একেবারে শূন্য

পেট্রোল-ডিজেল নয়, চার্জও নয়! জলেই চলবে টাটার নতুন হাইড্রোজেন বাস, দূষণ একেবারে শূন্য

Hydrogen Bus in India: ভারত এবার সবুজ গণপরিবহনের দিকেই বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে। টাটা মোটরস এবং ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে দেশের প্রথম হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক বাস। এই বাস চালাতে প্রয়োজন হবে না পেট্রোল, ডিজেল বা চার্জিং—বরং জল থেকে উৎপাদিত হাইড্রোজেনেই চলবে বাসটি। নতুন প্রযুক্তির এই পরিবেশবান্ধব বাস থেকে নির্গত হবে শুধু জলীয় বাষ্প, ফলে দূষণ শূন্য।

টাটার নতুন হাইড্রোজেন বাসে দূষণ একেবারে নেই

নতুন এই হাইড্রোজেন বাস থেকে কোনও ধোঁয়া বা ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয় না। বরং উপজাত হিসেবে বের হয় শুধুমাত্র জলীয় বাষ্প। এর ফলে শব্দদূষণও নেই, এবং সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব গণপরিবহনের দিকেই এগোচ্ছে ভারত। পরিবেশবিদদের মতে, এই প্রকল্প শহরাঞ্চলের বায়ুদূষণ কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেবে।

কীভাবে চলে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বাস

ভিডিওতে দেখা গেছে, বাসটির উপরের সিলিন্ডারে হাইড্রোজেন গ্যাস সংরক্ষিত থাকে। পাইপের মাধ্যমে সেটি যায় বাসের পিছনের ফুয়েল সেলে, যেখানে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। সেই বিদ্যুৎ মোটরে সরবরাহ করা হয়, যা বাসটিকে চালায়। অর্থাৎ, এটি বিদ্যুৎচালিত হলেও চার্জ করার দরকার হয় না।

ভারতের সবুজ প্রযুক্তির নতুন অধ্যায়

২০২১ সালে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন টাটা মোটরসকে ১৫টি হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বাস তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিল। প্রতিটি বাসে প্রায় ৩৫ জন যাত্রী বসতে পারবেন। এটি ভারত সরকারের সবুজ জ্বালানি ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ভবিষ্যতের গণপরিবহনের মডেল হতে পারে।

কবে আসছে বাজারে এই হাইড্রোজেন বাস

বর্তমানে প্রকল্পটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তবে, খুব শীঘ্রই টাটা এই হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বাস বাজারে আনবে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি মেট্রো শহরে এর পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। সফল হলে পর্যায়ক্রমে রাজ্য ও জেলা পর্যায়েও পৌঁছে যাবে এই দূষণমুক্ত বাস।


টাটা মোটরস এবং ইন্ডিয়ান অয়েলের যৌথ উদ্যোগে বাজারে আসছে সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বাস। এই নতুন প্রযুক্তির বাসে লাগবে না পেট্রোল, ডিজেল বা চার্জ—বরং চলবে জল থেকে উৎপাদিত হাইড্রোজেনে। পরিবেশবান্ধব গণপরিবহনে ভারতের বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

Leave a comment