সাহারানপুর দুর্নীতি মামলা: কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদের বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সাহারানপুর দুর্নীতি মামলা: কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদের বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সাহারানপুরে ২০০৭ সালের পুরসভা দুর্নীতি মামলায় কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদের বিরুদ্ধে আদালত চতুর্থবারের মতো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাঁর সহযোগী জুলফিকার আলী আত্মসমর্পণ করেছেন। পরবর্তী শুনানি ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।

UP News: গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই/ইডি আদালত কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদের বিরুদ্ধে আবারও জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই নিয়ে চতুর্থবার আদালত ইমরান মাসুদের অনুপস্থিতির কারণে এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল। মামলাটি ২০০৭ সালের, যখন ইমরান মাসুদ সাহারানপুর পুরসভা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করে পুরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছিলেন। এই মামলায় তাঁর সহযোগী জুলফিকার আলী ইতিমধ্যেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

২০০৭ সালের মামলা, ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ইমরান মাসুদ এবং তাঁর সহযোগী জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ২০০৭ সালে সাহারানপুর পুরসভা পরিষদের পরিচালনার সময় পরস্পর যোগসাজশে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বেআইনিভাবে তুলে নিয়েছিলেন। এই বিষয়ে পুরসভা পরিষদের তৎকালীন আধিকারিক যশবন্ত সিং ৬ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে দুজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। এই মামলাটি সাহারানপুর জেলায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল।

আদালতে অভিযোগপত্র এবং ইডির তদন্ত

এফআইআর-এর পরে পুলিশ তাদের তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরবর্তীকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এই মামলায় অর্থ পাচারের দিকটিও যুক্ত করে এবং ইমরান মাসুদ ও জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মামলা দায়ের করে।

সহযোগী জুলফিকার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন

শুক্রবার শুনানির সময় ইমরান মাসুদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে তাঁর সহযোগী জুলফিকার আলী আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁকে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড भरने का आदेश দিয়েছে এবং মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২৫ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করেছে।

সরকারি আইনজীবীর কঠোর পদক্ষেপের দাবি

ইডি-র পক্ষ থেকে পেশ হওয়া সরকারি আইনজীবী কেপি সিং আদালতকে ইমরান মাসুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত ক্রমাগত আদালতের অবমাননা করছেন এবং বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছেন না।

পরোয়ানা জারিতে গাফিলতির জন্য কনস্টেবল তলব

আদালত সেই কনস্টেবলকেও তলব করেছে, যে ইমরান মাসুদের অফিসে আদালতের নির্দেশ নিয়ে গিয়েছিল। আদালত প্রশ্ন তুলেছে, নির্দেশ জারি করার পরেও ইমরান মাসুদকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি। আদালত স্পষ্ট করেছে যে নির্দেশের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব।

চতুর্থবার জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

এই নিয়ে চতুর্থবার ইমরান মাসুদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হল। এর আগেও তিনি তিনবার আদালতে হাজির হননি, যার ফলে বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন আদালতের মনোভাব আগের চেয়ে আরও কঠোর বলে মনে হচ্ছে।

Leave a comment