IMF রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) তাদের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে জানিয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ধীরগতি এবং শুল্কযুদ্ধের মতো চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ভারতের অর্থনীতি ২০২৫ সালে ৬.৬% বৃদ্ধির হার বজায় রাখবে। রিপোর্টে ভারতের শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও নীতিগত স্থিতিশীলতার উপর আস্থা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬ সালে এই বৃদ্ধির হার ৬.২%-এ নেমে আসতে পারে। চীনের তুলনায় ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অনেক বেশি স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাব ও ভারতের অবস্থান
বিশ্ব অর্থনীতিতে শুল্কযুদ্ধ, মূল্যস্ফীতি ও অস্থিরতার কারণে অনেক দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। IMF রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি মাত্র ৩.২% হতে পারে। এর বিপরীতে ভারত ৬.৬% হারে উন্নতি করছে, যা অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা এবং বিনিয়োগ আকর্ষণকে প্রতিফলিত করছে।
ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মূল কারণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের শক্তিশালী বৃদ্ধি মূলত অভ্যন্তরীণ চাহিদা, ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থিতিশীল নীতির কারণে। সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, GDP বৃদ্ধি সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের বিনিয়োগ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এছাড়াও, রপ্তানি ও উৎপাদন ক্ষেত্রও বৃদ্ধির হার বজায় রাখতে সাহায্য করছে।

২০২৬ সালের পূর্বাভাস ও চ্যালেঞ্জ
IMF-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৬ সালে ভারতের GDP বৃদ্ধি ৬.২%-এ নেমে আসতে পারে। এর পেছনে প্রধান কারণ হল বৈশ্বিক শুল্ক চাপ, তেল দামের ওঠাপড়া এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের অস্থিরতা। তবে অভ্যন্তরীণ নীতি ও বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে এই হ্রাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
চীন ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা
IMF রিপোর্টে দেখা গেছে, চীনের ২০২৫ সালের বৃদ্ধির হার মাত্র ৪.৮% হতে পারে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, বৈশ্বিক অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও ভারতের বৃদ্ধি অন্যান্য বড় অর্থনীতির তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল। এটি ভারতের অর্থনীতির দৃঢ়তা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রমাণ করে।

IMF রিপোর্ট: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং শুল্কযুদ্ধের মাঝেও ভারতের অর্থনীতি ২০২৫ সালে ৬.৬% হারে বৃদ্ধি পাবে। রিপোর্টে ২০২৬ সালে বৃদ্ধির হার ৬.২%-এ নেমে আসার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং নীতিগত স্থিতিশীলতার কারণে ভারতের গ্রোথ ধারাবাহিক থাকবে।













