জাতিসংঘে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ: নিরীহদের মৃত্যু অগ্রহণযোগ্য, শান্তির জন্য সংলাপ জরুরি

জাতিসংঘে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ: নিরীহদের মৃত্যু অগ্রহণযোগ্য, শান্তির জন্য সংলাপ জরুরি

জাতিসংঘে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারত বলেছে যে নিরীহ মানুষের মৃত্যু অগ্রহণযোগ্য এবং সংঘাতের অবসান জরুরি। ভারত শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হিসেবে সংলাপ ও কূটনীতিকে উল্লেখ করেছে।

UN: জাতিসংঘে (UN) ভারত ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একটি বড় এবং স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছে। ভারত বলেছে যে ইউক্রেনে নিরীহ নাগরিকদের মৃত্যু সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এই সংঘাতের অবসান সকল দেশের জন্য মঙ্গলজনক। ভারত আরও পুনর্ব্যক্ত করেছে যে এই যুদ্ধের কোনো সমাধান যুদ্ধক্ষেত্র (Battlefield) থেকে আসতে পারে না। স্থায়ী শান্তির জন্য সংলাপ (Dialogue) এবং কূটনীতি (Diplomacy) হল একমাত্র পথ।

নিরীহদের প্রাণহানি অগ্রহণযোগ্য

জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্থেনেনি হриш বলেছেন যে ভারত ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত উদ্বিগ্ন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি অগ্রহণযোগ্য। যেকোনো সংঘাতেই সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানি আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবতার পরিপন্থী।

ভারতের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান কেবল শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। এই কারণেই ভারত বারবার সকল পক্ষকে যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) এবং আলোচনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সংলাপ ও কূটনীতিই শান্তির পথ

হриш তাঁর ভাষণে বলেছেন যে ভারত সবসময় এই অবস্থান নিয়েছে যে সংঘাতের স্থায়ী সমাধান কেবল সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমেই সম্ভব। তিনি স্বীকার করেছেন যে এই পথ কঠিন হতে পারে, কিন্তু এটাই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেছেন যে এই দিকে সকল পক্ষের পূর্ণ অংশগ্রহণ এবং প্রতিশ্রুতি অপরিহার্য। পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সহযোগিতা ছাড়া কোনো সমাধান দীর্ঘকাল স্থায়ী হতে পারে না।

ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠককে ইতিবাচক আখ্যা

ভারত জাতিসংঘে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা উল্লেখ করে সেগুলোকে ইতিবাচক বলে অভিহিত করেছে। ভারত বলেছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আলাস্কায় বৈঠক একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

হриш বলেছেন যে ভারত এই বৈঠকে অর্জিত অগ্রগতির প্রশংসা করে। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের সাথে ওয়াশিংটন ডিসিতে করা আলোচনাকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। এই সকল প্রচেষ্টা শান্তির দিকে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেয়।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর সক্রিয় ভূমিকা

ভারত জানিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্রমাগত রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সাথে যোগাযোগ রাখছেন। এর পাশাপাশি তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সাথেও আলোচনা করছেন। মোদী আগেও বহুবার স্পষ্ট করেছেন যে "এটা যুদ্ধের যুগ নয়"।

সংঘাতের প্রভাব গ্লোবাল সাউথের উপর

ভারত বলেছে যে এই সংঘাতের সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়েছে গ্লোবাল সাউথের উপর। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, খাদ্য সংকট এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা অনেক উন্নয়নশীল দেশকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে।

ভারত দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে যে এই দেশগুলোকে তাদের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাদের কণ্ঠস্বর শোনা এবং তাদের বৈধ উদ্বেগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া জরুরি।

ভারত ইউক্রেন সংঘাতের প্রতি সবসময় জন-কেন্দ্রিক (People-Centric) দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। ভারত ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা (Humanitarian Aid) প্রদান করেছে। একই সাথে গ্লোবাল সাউথের অনেক বন্ধু দেশ এবং অংশীদারদের অর্থনৈতিক সহায়তাও দিয়েছে। এর মধ্যে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোও অন্তর্ভুক্ত, যারা বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে।

Leave a comment