ভারত-জার্মানি বাণিজ্য ও প্রযুক্তিতে জোরদার সহযোগিতা, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা

ভারত-জার্মানি বাণিজ্য ও প্রযুক্তিতে জোরদার সহযোগিতা, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা

ভারত-জার্মানি বাণিজ্য ও প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত। জার্মানি ভারত-ইইউ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে সমর্থন করেছে। উভয় দেশ বিনিয়োগ, এআই এবং মহাকাশ খাতে অংশীদারিত্ব জোরদার করবে।

ভারত-জার্মানি সম্পর্ক: ভারত ও জার্মানির মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এস. জয়শঙ্কর এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ওয়াডেফুল-এর সাক্ষাৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উভয় নেতা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্য ভাগ করে নিয়েছেন। সাক্ষাতের সময় এটা স্পষ্ট হয়েছে যে উভয় দেশ বাণিজ্যিক সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রস্তুত।

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াডেফুল ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)-এর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন যে আগামী মাসগুলিতে এই চুক্তি হতে পারে এবং এর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য গতি পাবে। তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে কোনো দেশ যদি বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি করে, তবে তা কমাতে প্রচেষ্টা করা হবে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে বৈশ্বিক শুল্ক যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার থাকবে।

অর্থনীতি ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে গতি

জয়শঙ্কর এবং ওয়াডেফুল বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ নিয়েও আলোচনা করেন। গত বছর ভারত-জার্মানির দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৫০ বিলিয়ন ইউরো ছিল। জার্মানি এই বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্য রেখেছে এবং ভারতও এই দিকে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। জয়শঙ্কর আশ্বাস দেন যে জার্মান কোম্পানিগুলি ভারতে ব্যবসা করতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবে না এবং ভারত সরকার তাদের সকল উদ্বেগের দিকে নজর রাখবে।

প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে সহযোগিতা

ভারত-জার্মানি সহযোগিতা শুধু বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াডেফুল বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (IISc) এবং इसरो পরিদর্শন করেন, যেখানে তিনি ভারতের প্রযুক্তিগত শক্তি প্রত্যক্ষ করেন এবং ভারতকে "উদ্ভাবনের পাওয়ারহাউস" বলে অভিহিত করেন। উভয় দেশ মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।

শিল্পের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতাকে যুক্ত করার পরিকল্পনা

জয়শঙ্কর বলেন যে গত ৫০ বছর ধরে চলমান বৈজ্ঞানিক সহযোগিতাকে এখন শিল্পগুলির সাথে যুক্ত করার সময় এসেছে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর এবং অ্যারোস্পেস-এর মতো ক্ষেত্রগুলিতে জার্মানির আগ্রহকে ভারত স্বাগত জানিয়েছে। এর ফলে শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়বে না, কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের সুযোগও তৈরি হবে।

Leave a comment