अलर्ट पर है। बांग्लादेशी नागरिकों की अवैध घुसपैठ पकड़ी गई है। सुरक्षा एजेंसियां चौकसी बढ़ा रही हैं और स्थानीय लोगों से सहयोग की अपील की है।
New Delhi: ভারত-নেপাল সীমান্ত (India-Nepal Border) একটি উন্মুক্ত সীমান্ত যেখানে প্রতিদিন মানুষ ও বাণিজ্যিক কার্যকলাপের আদান-প্রদান ঘটে। তবে সম্প্রতি পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। নেপালে Gen-Z Protest-এর পর এই সীমান্তে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্কতা বাড়িয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সন্দেহ, পাকিস্তান এই পথ ব্যবহার করে ভারতে অনুপ্রবেশ ঘটাতে পারে। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
কেন সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে
পূর্ব চম্পারণ জেলার সাথে যুক্ত ১৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত ভারত ও নেপালের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এই পথটি দিল্লি-কাঠমান্ডুকে যুক্ত করে এবং রক্সौल, আদাপুর ও ছৌড়াদানো-র মতো এলাকাগুলি দিয়ে যায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি অনুসারে, নেপালের পার্সা, बारा ও রৌতहट জেলার অনেক গ্রাম নিরাপত্তা দৃষ্টিতে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
নেপালে চলমান বিক্ষোভ এবং সেখানকার জেলগুলি থেকে বহুসংখ্যক কয়েদির পলায়ন এর পর ঝুঁকি আরও বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালের জেলগুলি থেকে ১৫ হাজারেরও বেশি সন্দেহভাজন পলাতক, যাদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন পাকিস্তানি ও বাংলাদেশী নাগরিকও অন্তর্ভুক্ত। এরা সবাই জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে।
সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার এবং নেটওয়ার্কের উন্মোচন
সম্প্রতি ধৃত কিছু বাংলাদেশী নাগরিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রকাশ করেছে যে তারা নেপালের মধ্য দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। তাদের কার্যকলাপের তদন্ত থেকে একটি বড় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সক্রিয় থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই নেটওয়ার্ক মানব পাচার, জাল নথি তৈরি এবং অবৈধ আর্থিক লেনদেনের সাথেও জড়িত বলে জানা গেছে।
চোরাচালানের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে
ভারত-নেপাল সীমান্ত দীর্ঘকাল ধরে চোরাচালান এবং মানব পাচারের কেন্দ্রস্থল। অস্ত্র, মাদক ও জাল মুদ্রা-র মতো কার্যকলাপের কারণে এখানে আগেও বহুবার নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্ক ছিল। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে, নিরাপত্তা বাহিনীগুলি নজরদারি আরও বাড়িয়েছে।
যদিও এই নিবিড় তদন্ত এবং সতর্কতার প্রভাব সীমান্তে হওয়া ছোট ব্যবসা এবং দৈনন্দিন মজুরি প্রাপ্ত শ্রমিকদের উপরও দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন ভারত-নেপাল সীমান্ত পার হওয়া ছোট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা এখন কড়া তল্লাশির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রশাসন বলছে যে এই অসুবিধা সাময়িক, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি অপরিহার্য পদক্ষেপ।
স্থানীয় পর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রক্সौल, বীরগঞ্জ, আদাপুর এবং হারপুরের মতো এলাকাগুলিতে টহল বাড়ানো হয়েছে। গ্রামীণ রাস্তা, সেতু এবং পায়ে চলার পথে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সীমান্ত সুরক্ষা বল (SSB)-এর ৭১তম এবং ৪৭তম ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা ক্রমাগত তল্লাশি চালাচ্ছেন।
পান্টোকা স্থিত ৪৭তম ব্যাটেলিয়ন সদর দফতরের কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় পান্ডে জানিয়েছেন যে সীমান্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ক্রমাগত নির্দেশনা আসছে এবং স্থানীয় থানা ও BOP (Borders Out Post) কর্মকর্তাদের সাথে মিলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।
নেপালের জেল থেকে পলাতক সন্দেহভাজন
নেপালের জেল থেকে পলাতক কয়েদিরা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হাজার হাজার কয়েদি জেল থেকে পালিয়ে গেছে, যাদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অপরাধে জড়িত ছিল। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন বিদেশী নাগরিকও রয়েছে বলে জানা গেছে। এদের উপস্থিতি ভারতের জন্য একটি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।