ভারত ৩০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত পশ্চিমা সীমান্তে 'ত্রিশূল' সামরিক মহড়া চালাবে। এতে সেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা অংশ নেবে। রাজস্থান থেকে স্যার ক্রিক পর্যন্ত মহড়ার মধ্যে পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করেছে।
পাকিস্তান: ভারত তার পশ্চিমা সীমান্তে ৩০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত 'ত্রিশূল' নামক একটি বড় সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই সামরিক মহড়ায় ভারতীয় সেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা, এই তিনটি শাখা অংশগ্রহণ করবে। রাজস্থানের জয়সালমের থেকে শুরু করে গুজরাটের স্যার ক্রিক পর্যন্ত এই মহড়া পরিচালিত হবে। ভারত আগেই 'নোটিম' (Notice To Air Missions) জারি করে পাকিস্তানকে এই মহড়া সম্পর্কে জানিয়েছিল।
পাকিস্তানে চাঞ্চল্য, আকাশসীমা বন্ধ
ভারতের ত্রিশূল সামরিক মহড়ার খবর পাওয়ার পর পাকিস্তান তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তান এয়ারপোর্টস অথরিটি (PAA) করাচি এবং লাহোরের বিমান পথে পরিবর্তন এনেছে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। মনে করা হচ্ছে যে পাকিস্তান ভারতের সামরিক মহড়াকে মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
সামরিক মহড়ায় ৩০ হাজার জওয়ান অংশ নেবে
ত্রিশূল সামরিক মহড়ায় প্রায় ৩০ হাজার সেনা অংশ নেবে। এই মহড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর কৌশলগত ক্ষমতা, যুদ্ধ দক্ষতা এবং পারস্পরিক সমন্বয় যাচাই করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। আর্মি, এয়ারফোর্স এবং নেভির জওয়ানরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে।
স্যার ক্রিক অঞ্চলে কঠোর সতর্কতা

এই সামরিক মহড়ার আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং স্যার ক্রিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন এবং সৈন্যদের সাথে দেখা করেন। তিনি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন যে, এই অঞ্চলে যেকোনো ধরনের কার্যকলাপ ইতিহাস এবং ভূগোল উভয়ই পরিবর্তন করতে পারে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, এই অঞ্চলটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ স্যার ক্রিকের একটি পথ সরাসরি করাচি পর্যন্ত যায়।
পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রস্তুতি
পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান সম্প্রতি স্যার ক্রিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন এবং তার বাহিনীর প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন। ভারতের সামরিক মহড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পাশাপাশি, পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বিমান চলাচলের জন্য নতুন রুটের তথ্যও প্রকাশ করেছে।
সামরিক মহড়ার উদ্দেশ্য
ত্রিশূল সামরিক মহড়ার প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভারতের সামরিক প্রস্তুতি যাচাই করা এবং সীমান্তে প্রস্তুতির মহড়া দেওয়া। এর অধীনে সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন যুদ্ধ কৌশল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অনুশীলন করা হবে। এই মহড়ার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্রুত প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা, পারস্পরিক সমন্বয় এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার উন্নতি হবে।
এই মহড়ার কারণে পাকিস্তানে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা এটিকে ভারতের কৌশলগত ক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানের পদক্ষেপগুলো আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ানোর আশঙ্কা তৈরি করেছে।
ভারতের পক্ষ থেকে জারি করা নোটিম অনুযায়ী এই অঞ্চলে বিমান চলাচলের তথ্য জানানো হয়েছিল। পাকিস্তান নোটিমের পরিধি বাড়িয়ে তার আকাশসীমায় পরিবর্তন এনেছে। PAA জানিয়েছে যে, এই পরিবর্তনগুলি বিমান চলাচলের সুরক্ষা এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছে।













