আমেরিকার সতর্কতা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে ইন্ডিয়ান অয়েল

আমেরিকার সতর্কতা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে ইন্ডিয়ান অয়েল

আমেরিকার শুল্ক চাপ থাকা সত্ত্বেও ইন্ডিয়ান অয়েল (IOCL) জানিয়েছে যে তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে। কোম্পানির এই সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক লাভের উপর নির্ভর করবে। ২০২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে রাশিয়ান তেলের অংশ তাদের মোট আমদানির ২৪% ছিল। এছাড়াও কোম্পানি ৩৪,০০০ কোটি টাকার ক্যাपेক্স প্ল্যান তৈরি করেছে।

Crude oil: আমেরিকার সতর্কতা এবং ৫০% শুল্কের হুমকির মধ্যে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOCL) সোমবার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে। কোম্পানি জানিয়েছে যে ২০২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে তাদের আমদানিতে রাশিয়ান তেলের অংশ ছিল ২৪%, যেখানে FY25-এ এটি ছিল ২২%। IOCL ৩৪,০০০ কোটি টাকার ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচারের ঘোষণাও করেছে, যার মধ্যে রয়েছে রিফাইনারি সম্প্রসারণ, পেট্রোকেমিক্যালস এবং গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রোজেক্ট।

আমেরিকার সতর্কতা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে কেনা চলবে

আমেরিকা রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপর মোট ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছে। এছাড়াও ওয়াশিংটন আগেই ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক लगाने-র चेतावनी দিয়েছে। এই সতর্কতা সত্ত্বেও আইওসিএল জানিয়েছে যে চলতি ত্রৈমাসিকেও রাশিয়ান তেল আমদানি जारी থাকবে। কোম্পানির বক্তব্য হল, যেখানে সস্তা তেল পাওয়া যাবে, সেখান থেকেই কেনা হবে।

ত্রৈমাসিকে কতটা আমদানি হয়েছে

আইওসিএল একটি বিশ্লেষক কলের সময় জানিয়েছে যে ২০২৫ অর্থবছরে কোম্পানি মোট আমদানির প্রায় ২২ শতাংশ রাশিয়া থেকে নিয়েছে। যেখানে ২০২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে এই অংশ বেড়ে হয়েছে ২৪ শতাংশ। কোম্পানি বলেছে যে বর্তমান ত্রৈমাসিকেও আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাশিয়া থেকে তেল কেনা जारी রাখা হবে।

রাশিয়া থেকে কেন বাড়ছে আমদানি

রাশিয়া থেকে তেল কেনার সবচেয়ে বড় কারণ হল এর দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল ভারতের জন্য অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য এই চুক্তি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। এটাই কারণ যে আমেরিকার চাপ ও শুল্কের আশঙ্কা সত্ত্বেও ভারতীয় কোম্পানিগুলো রাশিয়া থেকে আমদানি করতে পিছপা হচ্ছে না।

রিফাইনিং ক্যাপাসিটিতে বৃদ্ধি

কোম্পানি একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে তার রিফাইনিং ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। পানিপথ রিফাইনারির ক্ষমতা ১৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্রতি বছর থেকে বাড়িয়ে ২৫ এমএমটিপিএ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের কাজ এই বছরের শেষের দিকে শুরু হয়ে যাবে।
এছাড়াও গুজরাটের কোয়ালি রিফাইনারির ক্ষমতাও ১৩.৭ এমএমটিপিএ থেকে বাড়িয়ে ১৮ এমএমটিপিএ করা হবে।

বিহারের বারৌনি রিফাইনারির সম্প্রসারণ

আইওসিএল বিহারের বারৌনি রিফাইনারিকেও আপগ্রেড করছে। বর্তমান ক্ষমতা ৬ এমএমটিপিএ, যা বাড়িয়ে ৯ এমএমটিপিএ করা হবে। এই সম্প্রসারণ ২০২৬ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ক্রমবর্ধমান খরচের কারণে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৩,৭৭৯ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬,৭২৪ কোটি টাকা করা হয়েছে। কোম্পানির বোর্ড এর জন্য मंजूरी দিয়েছে।

আমেরিকার শুল্কের প্রভাব

আমেরিকা স্পষ্ট चेतावनी দিয়েছে যে যদি ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা जारी রাখে তাহলে তার উপর অতিরিক্ত শুল্ক লাগানো হবে। আপাতত ভারতের উপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক लगाने-র ঘোষণা করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের প্রভাব ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য সম্পর্কের উপর পড়তে পারে। যদিও ভারতের বক্তব্য হল, তারা তাদের শক্তির চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।

Leave a comment