আইপিএল টিকিটে জিএসটি বৃদ্ধি: ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ

আইপিএল টিকিটে জিএসটি বৃদ্ধি: ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ

ভারত সরকার পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) এর হারে পরিবর্তন এনেছে। এই জিএসটি সংস্কারের অধীনে চিকিৎসা এবং শিক্ষা খাতে দাম কমেছে।

ক্রীড়া সংবাদ: ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য আইপিএল ২০২৬-এর অপেক্ষা আরও বেড়েছে, কিন্তু জিএসটি সংস্কারের পর স্টেডিয়ামে বসে ম্যাচ দেখার খরচ বাড়তে পারে। ভারত সরকার পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) এর হারে পরিবর্তন এনেছে। নতুন স্ল্যাবে আইপিএল টিকিটকে বিলাসবহুল পণ্যের (Luxury Goods) শ্রেণিতে রাখা হয়েছে, যার ফলে এখন টিকিটের উপর ৪০ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য হবে।

আগে জিএসটি কত ছিল এবং এখন কত হবে

আগে আইপিএল টিকিটের উপর ২৮% জিএসটি প্রযোজ্য ছিল। এর অর্থ হল, যদি কর ছাড়া একটি টিকিটের দাম ১,০০০ টাকা হত, তাহলে জিএসটি যোগ করার পর টিকিটের দাম হত ১,২৮০ টাকা। এখন ৪০% জিএসটি প্রযোজ্য হওয়ার পর সেই একই টিকিট ১,৪০০ টাকা হয়ে যাবে। এই পরিবর্তনের ফলে স্টেডিয়ামে গিয়ে ম্যাচ দেখার খরচ বেড়ে যাবে।

আইপিএলে টিকিটের দাম ফ্র্যাঞ্চাইজি ঠিক করে, বিসিসিআই এতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে না। এখনও পর্যন্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)-র টিকিট সবচেয়ে দামি বলে বিবেচিত হয়। ২০২৪ সালে RCB টিকিটের দাম ৫৫,০০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। ৪০% জিএসটি-র পর ২০২৬ সালে এই দাম ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। একইভাবে, চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (MI)-এর টিকিটও প্রভাবিত হবে, তবে RCB-র টিকিট সবচেয়ে দামি থাকবে।

জিএসটি সংস্কারের আইপিএল-এ ব্যাপক প্রভাব

জিএসটি সংস্কারের ফলে স্টেডিয়ামে বসে ম্যাচ দেখা ভক্তদের অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য ক্ষতি কম, কারণ আইপিএল-এর আয় শুধুমাত্র টিকিট বিক্রির উপর নির্ভরশীল নয়। আইপিএল-এর আয়ের প্রধান উৎসগুলি হল:

  • স্পনসরশিপ ডিল
  • টিভি এবং ডিজিটাল স্ট্রিমিং রাইটস
  • সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লাইভ সম্প্রচার

এছাড়াও, যদি সমস্ত টিকিট বিক্রি না হয়, তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা টিকিট স্পনসর এবং ক্লাব সদস্যদের দিয়ে দেয়। তাই টিকিটের দাম বাড়লেও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বড় লোকসান হবে না, তবে ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের পকেটে অতিরিক্ত বোঝা পড়বে।

Leave a comment