IRCTC-র ভারত গৌরব ট্যুরিজম ট্রেন: ১১ দিনে পুরী, গয়া, অযোধ্যা ও জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন

IRCTC-র ভারত গৌরব ট্যুরিজম ট্রেন: ১১ দিনে পুরী, গয়া, অযোধ্যা ও জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন

তীর্থযাত্রীদের জন্য সুখবর। আইআরসিটিসি ৪ নভেম্বর ইন্দোর থেকে ভারত গৌরব ট্যুরিজম ট্রেন চালু করতে চলেছে, যা ১১ দিনে পুরী, গয়া, গঙ্গাসাগর, বারাণসী, অযোধ্যা এবং দুটি জ্যোতির্লিঙ্গ সহ প্রধান ধর্মীয় স্থানগুলি পরিভ্রমণ করাবে।

ইন্দোর: মধ্যপ্রদেশের ভক্তদের জন্য সুখবর। ভারতীয় রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি) আবারও ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ইন্দোর থেকে ভারত গৌরব পর্যটক ট্রেন চালু করতে চলেছে। এই বিশেষ ট্রেনটি যাত্রীদের পুরী, গয়া, গঙ্গাসাগর, বারাণসী, অযোধ্যা এবং দুটি প্রধান জ্যোতির্লিঙ্গ — বাবা বৈদ্যনাথ ধাম (দেওঘর) এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (বারাণসী) — দর্শন করাবে। এই যাত্রা ১১ দিনের হবে, যেখানে যাত্রীরা শুধু রেল যাত্রা নয়, থাকা এবং খাবারেরও সম্পূর্ণ ব্যবস্থা পাবেন।

৪ নভেম্বর থেকে ভক্তদের জন্য বিশেষ ট্রেন

আইআরসিটিসির এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল ভক্তদের একটি একক যাত্রায় দেশের প্রধান ধর্মীয় স্থানগুলি দর্শনের সুযোগ দেওয়া। এই ট্রেনটি ৪ নভেম্বর ইন্দোর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে এবং ১১ দিনে দেশের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের অনেক তীর্থস্থান ঘুরে দেখাবে।

যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ট্রেনে আধুনিক এলএইচবি কোচ লাগানো হয়েছে, যা আগের তুলনায় বেশি নিরাপদ এবং আরামদায়ক। যাত্রার সময় ভক্তরা পুরীর জগন্নাথ মন্দির, গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি আশ্রম, গয়ার বিষ্ণুপদ মন্দির, অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মন্দির এবং বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ দর্শন করতে পারবেন।

যাত্রার প্রধান স্টেশন এবং স্টপেজের তথ্য

এই বিশেষ ভারত গৌরব পর্যটক ট্রেনটি মধ্যপ্রদেশের অনেক স্টেশন হয়ে যাবে, যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই যাত্রার সুবিধা নিতে পারে। ট্রেনটি উজ্জয়িনী, শুজালপুর, সিহোর, সন্ত হিরদারাম নগর (ভোপাল), বীণা, সাগর, দামোহ এবং কাটনি মুরওয়ারা স্টেশনে থামবে। এই স্টেশনগুলো থেকে যাত্রীরা ট্রেনে উঠে তাদের তীর্থযাত্রা শুরু করতে পারবেন।

আইআরসিটিসি কর্মকর্তাদের মতে, ট্রেনের সমস্ত স্টপেজে যাত্রীদের সুবিধার জন্য স্থানীয় রেলওয়ে প্রশাসন এবং নিরাপত্তা দল মোতায়েন থাকবে। এর পাশাপাশি যাত্রীদের স্টেশনে খাবার, জল এবং গাইড পরিষেবাও প্রদান করা হবে।

ভাড়া এবং ভ্রমণ শ্রেণীগুলির তথ্য

এই ১১ দিনের যাত্রার ভাড়া অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত রাখা হয়েছে যাতে প্রতিটি শ্রেণীর যাত্রী এতে অংশ নিতে পারে। স্লিপার ইকোনমি শ্রেণীর ভাড়া প্রতি ব্যক্তি ₹১৯,৯০০, থার্ড এসি স্ট্যান্ডার্ডের ভাড়া ₹৩২,৪৫০ এবং সেকেন্ড এসি কমফোর্টের ভাড়া ₹৪২,৭৫০ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভ্রমণ প্যাকেজে রেল যাত্রা ছাড়াও হোটেলে থাকা, প্রাতরাশ, দুপুর ও রাতের খাবার, স্থানীয় পরিবহন, এবং দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর পাশাপাশি যাত্রীদের ট্র্যাভেল ইন্স্যুরেন্স, অনবোর্ড নিরাপত্তা কর্মী এবং ট্যুর এসকর্টের সুবিধাও প্রদান করা হবে।

Leave a comment