জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টি এবং মেঘ ভাঙা ঘটনার পরে, সরকার ১৮ই আগস্ট জম্মু বিভাগের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গত চার দিনে তিনটি বড় ঘটনা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ ১৯শে আগস্ট পর্যন্ত পুরো প্রদেশে বন্যা এবং ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে।
Jammu Kashmir Schools Closed: জম্মু ও কাশ্মীরে একটানা ভারী বৃষ্টি এবং মেঘ ভাঙা ঘটনার কারণে ১৮ই আগস্ট জম্মু বিভাগের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কিশ্তওয়ার এবং কাঠুয়া জেলায় মেঘ ভাঙার ফলে এখনও পর্যন্ত ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেকে আহত বা নিখোঁজ রয়েছেন। আবহাওয়া বিভাগ ১৯শে আগস্ট পর্যন্ত পুরো প্রদেশে ভারী বৃষ্টি, ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা জানিয়েছে, যার জেরে প্রশাসন জনগণের কাছে সতর্ক থাকার এবং নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে।
মেঘ ভাঙার কারণে একাধিক জেলায় ধ্বংসলীলা
গত চার দিনে জম্মু ও কাশ্মীরে মেঘ ভাঙার তিনটি বড় ঘটনা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে ১৪ই আগস্ট কিশ্তওয়ার জেলার চিসোটি গ্রামে, যেখানে আকস্মিক বন্যা মারাত্মক ক্ষতি করেছে। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১১৬ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। वहीं, প্রায় ৮২ জন লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগ তীর্থযাত্রী এবং একজন সিআইএসএফ জওয়ান রয়েছেন।
এছাড়াও, ১৭ই আগস্ট কাঠুয়া জেলার যোধ উপত্যকা এবং জঙ্গলোট এলাকাতেও মেঘ ভাঙা এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫ জন আহত হয়েছেন। একটানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রশাসনের উপর চাপ বেড়েছে।
মানুষের কাছে সতর্ক থাকার আবেদন
আবহাওয়া দফতর ১৯শে আগস্ট পর্যন্ত পুরো জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং মেঘ ভাঙার সম্ভাবনা জানিয়েছে। এর পাশাপাশি আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসেরও আশঙ্কা রয়েছে। জম্মু বিভাগের সমস্ত জেলা এবং কাশ্মীর উপত্যকার কিছু এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
প্রশাসন জনগণের কাছে আবেদন করেছে যে তারা যেন নদী-নালার কাছে না যায় এবং ভূমিধস প্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকে। সরকার জানিয়েছে যে পরিস্থিতির উপর ক্রমাগত নজর রাখা হচ্ছে এবং যে কোনও জরুরি অবস্থার মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি সম্পূর্ণ।
ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য চলছে
কিশ্তওয়ার এবং কাঠুয়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এনডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসনের দল ক্রমাগত ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে নিযুক্ত রয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান চলছে এবং আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে খারাপ আবহাওয়া, একটানা বৃষ্টি এবং ভূমিধসের কারণে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও, স্থানীয় মানুষজনও প্রশাসনের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন এবং ত্রাণকার্যে সহযোগিতা করছেন।