ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলায় কুড়মি জাতির লোকেরা এসটি-তে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে হাওড়া-মুম্বাই রেলপথে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনা শুরু করেছে। রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে, মহিলা ও শিশুরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
Kudmi Tribe Protest: ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা জেলায় কুড়মি জাতির লোকেরা এসটি (Scheduled Tribe)-তে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে হাওড়া-মুম্বাই রেলপথে এক বিরাট বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। সিনি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে বিক্ষোভকারীরা রেল ট্র্যাকে বসে অনির্দিষ্টকালের ধরনা (indefinite protest) শুরু করে। এই সময় অনেক মহিলা তাঁদের কোলে থাকা শিশুদের নিয়েও উপস্থিত ছিলেন, যা আন্দোলনের গুরুত্ব ও সম্মিলিত রূপকে তুলে ধরে।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য ছিল যে কুড়মি জাতি এর আগে এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু কিছু ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এটিকে তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীরা তাঁদের অধিকারের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছেন এবং তাঁদের এই দাবি বহু বছর ধরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সামনে থাকলেও এখনও পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘাত
বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ গোটা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল এবং দাবি করেছিল যে কোনো বিক্ষোভকারীকে ট্র্যাকে আসতে দেওয়া হবে না, কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা রেলপথে পৌঁছে যান। এই উগ্র আন্দোলনের কারণে রেল পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয় এবং হাওড়া-মুম্বাই রুটে একাধিক ট্রেন থেমে যায়। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু বিক্ষোভকারীদের উৎসাহ ও সংকল্প (determination)-এর মুখে তাদের পিছু হটতে হয়।
রেল টেকো আন্দোলন
স্থানীয়দের মতে, এই আন্দোলন ‘রেল টেকো’ নামে শুরু হয়েছে এবং এখন এটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য (indefinite) ঘোষণা করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কেবল ট্রেন থামানোর জন্য নয়, তাঁদের অধিকার (rights)-এর লড়াইয়ের জন্য ক্রমাগত সংগ্রাম করছেন। এই ধরনায় অংশ নেওয়া নবীন মাহাতো জানিয়েছেন যে তাঁদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ কিন্তু তাঁরা আর অপেক্ষা করতে পারবেন না।
মহিলা ও শিশুদের অংশগ্রহণ
এই অভিনব উদ্যোগের বিশেষ দিক ছিল যে ধরনায় বিপুল সংখ্যক মহিলা ও শিশু অংশ নিয়েছিল। অনেক মহিলা তাঁদের ছোট শিশুদের নিয়ে ট্র্যাকে উপস্থিত ছিলেন, যা আন্দোলনের গভীরতা ও সামাজিক সমর্থন (social support)-কে স্পষ্ট করে তোলে। স্থানীয় লোকেরা এটিকে শান্তিপূর্ণ সংগ্রাম (peaceful struggle) হিসেবে বর্ণনা করছেন, কিন্তু রেলওয়ে কর্মকর্তা ও পুলিশের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং (challenging) পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ
স্থানীয় রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে রেলপথে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে হাওড়া-মুম্বাই রুটে অনেক ট্রেন থেমে গেছে এবং যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে, কিন্তু বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও তাদের দৃঢ়তা ও সংকল্প (resolve) পুলিশকে পিছু হটতে বাধ্য করছে।