যোধপুরে ডিএসটি (DST) দলের দুই कांस्टेबलকে পাচারকারীদের সঙ্গে পার্টি করতে দেখা গেছে। ভাইরাল ছবিগুলির পরে, ডিসিপি (DCP) ওয়েস্ট দুজনকেই লাইন হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এই তদন্ত অতিরিক্ত ডিসিপি (Additional DCP)-কে হস্তান্তর করেছেন। পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যোধপুর: পুলিশের ডিপার্টমেন্টাল স্পেশাল টাস্ক (DST) দল আবার বিতর্কে জড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিগুলিতে দুজন পুলিশকর্মী, ওমারাম (Omaram) এবং ভগারাম (Bhagaram), যোধপুর ও পালি (Pali)-এর পাচারকারীদের সঙ্গে পার্টি করতে দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনা ডিএসটি (DST) দলের ভাবমূর্তির উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ডিসিপি (DCP) ওয়েস্ট, বিনিত বনসল (Vineet Bansal), দুই পুলিশকর্মীকে লাইন হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন এবং অতিরিক্ত ডিসিপি (Additional DCP) রওশন মীণা (Roshan Meena)-কে এই তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
ছবিগুলির সঠিক তারিখ স্পষ্ট নয়, তবে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হচ্ছে। এর আগেও ডিএসটি (DST) দলকে নিয়ে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে এবং এখন এই ঘটনাটি দলের বিশ্বাসযোগ্যতার উপর নতুন সংকট তৈরি করেছে।
পুলিশ এবং পাচারকারীদের ছবি ভাইরাল
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিগুলিতে দেখা গেছে যে পুলিশকর্মী ওমারাম (Omaram) এবং ভগারাম (Bhagaram) স্থানীয় পাচারকারী মূলারাম ওমপ্রকাশ (Moolaram Omprakash) (যোধপুর) এবং সুরজা রাম (Surja Ram) (পালি)-এর সঙ্গে পার্টিতে অংশ নিচ্ছেন। ছবিতে পুলিশকর্মীদের হাসি-ঠাট্টা এবং অপরাধীদের সঙ্গে স্বচ্ছন্দ মেলামেশা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
ছবিগুলি সামনে আসার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ প্রশ্ন তুলছেন যে, যে পুলিশকর্মীরা আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরা কি অপরাধীদের সঙ্গে এইভাবে ঘনিষ্ঠ হতে পারেন? এর আগেও ডিএসটি (DST) দলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কিন্তু এখন এই বিষয়টি আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে।
পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিগুলি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডিসিপি (DCP) ওয়েস্ট, বিনিত বনসল (Vineet Bansal), দুই পুলিশকর্মীকে লাইন হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এই মামলার তদন্ত অতিরিক্ত ডিসিপি (Additional DCP) রওশন মীণা (Roshan Meena)-কে হস্তান্তর করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে এবং কোনো নিয়মের লঙ্ঘন পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগেও ডিএসটি (DST) দলের এক कांस्टेबल, সুনীল বিষ্ণোই (Sunil Bishnoi)-এর কিছু অসামাজিক কার্যকলাপকারীদের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হয়েছিল, যা নিয়েও পুলিশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে, এই ঘটনাটি দলের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আধিকারিকরা জোর দিচ্ছেন যে, তদন্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে হবে এবং দোষী ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
ডিএসটি (DST) দলের উদ্দেশ্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া
ডিএসটি (DST) দলের মূল উদ্দেশ্য হল অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। তবে, ভাইরাল হওয়া ছবিগুলি থেকে এই বার্তা পৌঁছেছে যে কিছু পুলিশকর্মী অপরাধীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন। এতে জনগণের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় মানুষজন সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশকে ট্রোল করছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন যে, যদি তদন্ত নিরপেক্ষ না হয়, তবে ডিএসটি (DST) দলের সম্মান এবং জনগণের নিরাপত্তা উভয়ই প্রভাবিত হতে পারে।
অতিরিক্ত ডিসিপি (Additional DCP) রওশন মীণা (Roshan Meena) मामले की जांच करेंगे
অতিরিক্ত ডিসিপি (Additional DCP) রওশন মীণা (Roshan Meena) এই মামলার গভীরে গিয়ে তদন্ত করবেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, দুই পুলিশকর্মীর কাছ থেকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি, ছবিগুলি কখন তোলা হয়েছিল এবং এতে কোনো গুরুতর আইন লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে।
তদন্তের ফলাফল আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে যে, যদি প্রমাণিত হয় যে আধিকারিক নিয়মের লঙ্ঘন করেছেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনাটি আবারও রাজস্থান পুলিশের ভাবমূর্তিতে প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিয়েছে এবং ডিএসটি (DST) দলকে কড়া নজরদারিতে আনা হয়েছে।