টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে জর্ডন কক্সের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি: ২২ বলে ১১০ রান!

টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে জর্ডন কক্সের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি: ২২ বলে ১১০ রান!

টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে ২৪ বছর বয়সী উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জর্ডন কক্স বিধ্বংসী ব্যাটিং করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। কক্স তাঁর ইনিংসে শুধুমাত্র চার ও ছক্কার সাহায্যে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খুবই বিরল এবং বিশেষ বলে মনে করা হয়।

স্পোর্টস নিউজ: টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ২০২৫-এ বৃহস্পতিবারের ম্যাচে এসেক্সের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জর্ডন কক্স (Jordan Cox) এমন এক কীর্তি করে দেখিয়েছেন, যা পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। ২২ বলে ১১০ রান করাটা স্বপ্নের মতো শোনায়, কিন্তু কক্স সেই স্বপ্নকে সত্যি করে দেখিয়েছেন। তাঁর এই বিস্ফোরক ইনিংসের দৌলতে এসেক্স হ্যাম্পশায়ারের বিরুদ্ধে ৪ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয়লাভ করে।

হ্যাম্পশায়ার খাড়া করেছিল ২২০ রানের বিশাল স্কোর

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হ্যাম্পশায়ার নির্ধারিত ২০ ওভারে ২২০ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে। দলের জন্য টবি অ্যালবার্ট ৮৪ রান এবং হিলটন কার্টরাইট মাত্র ২৩ বলে ৫৬ রান করেন। কার্টরাইটের ইনিংসে ৫টি ছক্কা এবং ৩টি চার ছিল। মনে হচ্ছিল হ্যাম্পশায়ার হয়তো সহজেই ম্যাচটি জিতে নেবে, কিন্তু এসেক্সের জর্ডন কক্স সবকিছু বদলে দেন।

জর্ডন কক্স খেললেন ঐতিহাসিক ইনিংস

এসেক্সের হয়ে ইনিংসের শুরুটা করেছিলেন মাইকেল পেপার (২৩ রান) এবং পল ওয়াল্টার (১৩ রান), কিন্তু কেউই বড় স্কোর করতে পারেননি। এরপরেই মাঠে আসেন জর্ডন কক্স এবং তিনি হ্যাম্পশায়ারের বোলারদের কচুকাটা করেন। কক্স মাত্র ৬০ বলে ১৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩১.৬৭। এই ইনিংসে তিনি ১১টি চার এবং ১১টি ছক্কা মারেন। অর্থাৎ, তিনি শুধুমাত্র ২২ বলে ১১০ রান করেন।

  • ১১টি চার = ৪৪ রান (১১ বলে)
  • ১১টি ছক্কা = ৬৬ রান (১১ বলে)

এইভাবে মোট ২২ বলে ১১০ রান করেন। বাকি রানগুলো তিনি ৩৮ বলে করেন। তাঁর এই ইনিংসের দৌলতে এসেক্স ৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচটি জিতে যায়।

ম্যাচের ফল ছিল এরকম

হ্যাম্পশায়ারের ২২০ রানের জবাবে এসেক্স ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২২২ রান করে। কক্সের ইনিংস ছাড়া অন্য কোনও ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, কিন্তু তাঁর একার দাপটেই এসেক্স ম্যাচটি ঘুরিয়ে দেয়। এই দারুণ জয় সত্ত্বেও এসেক্স সাউথ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় একেবারে নিচে রয়েছে।

এসেক্স এখনও পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে তারা মাত্র ৩টিতে জিতেছে এবং ৯টিতে হেরেছে। অধিনায়ক সাইমন হার্মারের নেতৃত্বাধীন এসেক্সের অ্যাকাউন্টে এখন ১৪ পয়েন্ট রয়েছে। অন্যদিকে হ্যাম্পশায়ারের এটি ছিল এই মরসুমের ষষ্ঠ পরাজয়। দলটি ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে জিতেছে এবং ৭টিতে হেরেছে। ক্রিস উডের নেতৃত্বাধীন হ্যাম্পশায়ার দল ৩০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

Leave a comment