কাটনিতে বিজেপি নেতা নীলেশ রজককে দিনের বেলায় গুলি করে হত্যা, অভিযুক্তের বাবার আত্মহত্যা; এসপি’র কড়া পদক্ষেপ

কাটনিতে বিজেপি নেতা নীলেশ রজককে দিনের বেলায় গুলি করে হত্যা, অভিযুক্তের বাবার আত্মহত্যা; এসপি’র কড়া পদক্ষেপ
সর্বশেষ আপডেট: 15 ঘণ্টা আগে

কাটনির কাইমুরে বিজেপি নেতা নীलेश রজককে দিনের বেলায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এক অভিযুক্তের বাবা আত্মহত্যা করেন। পুলিশ থানা ইনচার্জকে লাইন অ্যাটাচ করে তদন্ত শুরু করেছে।

কাটনি: মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের কাটনি জেলার কাইমুর শহরে বিজেপি নেতা নীलेश রজকের দিনের বেলায় হত্যাকাণ্ড পুরো অঞ্চলকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মোটরসাইকেলে আসা দুই মুখোশধারী হামলাকারী তাকে কাছ থেকে গুলি করে, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিবারের সদস্যরা ছয় ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে। একই সঙ্গে, হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পরই এক অভিযুক্তের বাবা ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করায় বিষয়টি আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে।

ব্যাংকের কাছে দিনের বেলায় যুবকের খুন

মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ কাইমুরের ব্যাংক অফ বরোদার কাছে ঘটনাটি ঘটে। নীलेश রজক, যিনি বিজেপি ওবিসি মণ্ডল সভাপতি এবং বজরং দলের প্রাক্তন পদাধিকারী ছিলেন, তার বাইকে করে বাজারে যাচ্ছিলেন। তখনই বাইকে আসা দুই মুখোশধারী দুষ্কৃতী তাকে থামিয়ে বুকে গুলি করে।

গুলি লাগতেই রজক রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুরো ঘটনাটি কাছের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, যার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত দ্রুত করেছে।

অভিযুক্তের বাবার আত্মহত্যা 

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে প্রিন্স জোসেফ (৩০) এবং আকরাম খান (৩৩) হিসেবে শনাক্ত করেছে। দুজনেই পলাতক। এদিকে, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই অভিযুক্ত প্রিন্স জোসেফের বাবা নেলসন জোসেফ নিজ বাড়িতে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নেলসন সকালে স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফিরেছিলেন এবং কিছুক্ষণ পরেই নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। অনেকক্ষণ পর্যন্ত তিনি বাইরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা উঁকি মেরে দেখেন এবং তাকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

কাইমুরে থানা ইনচার্জের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে কাটনির এসপি অভিনয় বিশ্বকর্মা কাইমুর থানার ইনচার্জ অরবিন্দ চৌবে এবং হেড কনস্টেবল প্রেমশঙ্কর প্যাটেলকে লাইন অ্যাটাচ করেছেন। এর পাশাপাশি, জবলপুরের ডিআইজি অতুল সিং কাইমুরে ফ্ল্যাগ মার্চ বের করে মানুষের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন।

এলাকায় সতর্কতামূলকভাবে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় শহরকে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নিয়ে এসেছে।

অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি 

হত্যার পর, পরিবার এবং সমর্থকরা মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করাতে অস্বীকার করে বিজয়রাঘবগড় হাসপাতালের বাইরে ছয় ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে। তাদের দাবি ছিল, পুলিশ অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক।

ঘটনাস্থলে বিধায়ক সঞ্জয় পাঠক এসে পরিবারের সদস্যদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি হেমন্ত খাণ্ডেলওয়াল মুখ্যমন্ত্রী ড. মোহন যাদবের সঙ্গে কথা বলে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, শীঘ্রই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।

Leave a comment