কলেজ স্কয়ার থেকে ধর্মতলা মিছিলের মাঝখানে একাই এগিয়ে চলেছেন মমতা

কলেজ স্কয়ার থেকে ধর্মতলা মিছিলের মাঝখানে একাই এগিয়ে চলেছেন মমতা
সর্বশেষ আপডেট: 30-11--0001

ভিজে চশমার কাঁচে জমে জল, কানে ফোন, মুখে দৃঢ়তা। কলেজ স্কয়ার থেকে ধর্মতলা—মিছিলের মাঝখানে একাই এগিয়ে চলেছেন মমতা।

ঘড়ি ধরেই দৃশ্যপটের সূচনা: দুপুর ১টা ২৮ মিনিটে বেরোলেন নেত্রী

সময় যেন থমকে দাঁড়ায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরোন। কনভয় অ্যালার্ট, কাঁচ খোলা গাড়িতে, মেঘ মাথায় কানে ফোনে কথা বলছেন—এ যেন এক রাজনৈতিক দৃশ্যপটের সিনেম্যাটিক শুরু।

শয়ে শয়ে মানুষের অপেক্ষা, কলেজ স্কয়ার হয়ে শুরু পা ফেলার সুর

শহরতলি থেকে জেলা, জেলা থেকে শহর—শত শত মানুষ অপেক্ষায়। দৃষ্টিপথের শুরু কলেজ স্কয়ার, গন্তব্য ধর্মতলা। সময়মতো মিছিলে যোগ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।এটা আর শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটা ছিল একটা বার্তা—দখল নিতে এসেছি, রাজপথে, মননে।

বৃষ্টির বাঁধা মানেননি নেত্রী, ছাতা ছাড়াই মিছিলে মমতা

মেঘ গর্জে উঠল, সঙ্গে বর্ষা। কেউ ছাতা ধরেছে, কেউ ভিজছে। আর মাথায় ছাতা ছাড়াই ভিজে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ছবিই তো ক্যামেরার অপেক্ষায় থাকে না, ক্যামেরা তাকে খুঁজে নেয়।

ভিড় উপচে পড়ল রাজপথে, ব্যালকনি থেকে ফোনের ফ্রেমে বন্দি মমতা

কিশোর থেকে বৃদ্ধ, ছাত্র থেকে কর্মী—এক ঝলক মমতাকে দেখার জন্য ব্যালকনি থেকে হাত নাড়ছেন কেউ, আবার কেউ মোবাইলে বন্দি করছেন ইতিহাসের একটি দৃশ্য।রাজপথ যেন মমতার শক্তির প্রতিধ্বনি হয়ে উঠেছিল বুধবার দুপুরে।

১৮ জুলাইয়ের মোদী আগমনের আগে, ১৬ জুলাইয়ের মিছিল হয়ে উঠল রাজনৈতিক কৌশল

উপনির্বাচনে জয়লাভের পরেও বিরোধীরা ছোটো করে দেখতে চেয়েছিল জয়কে। মমতা সেই ছোটো জয়কে রূপ দিলেন বড়ো রাজনৈতিক বার্তায়। মোদী যখন রাজ্যে আসছেন, তার ঠিক আগেই এই মিছিল ছিল যেন এক ‘পলিটিকাল কাউন্টার-পাঞ্চ’।

"২০২৬ এ বাংলা, ২০২৯ এ দিল্লি!" – ইন্ডিয়া জোটের লক্ষ্যের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

তৃণমূলের ভরসা বাংলা, আর বাংলার হাত ধরেই ২০২৯ সালে কেন্দ্র দখলের স্বপ্ন। বুধবারের মিছিল সেই ইঙ্গিতই দিল, বিরোধীদের বিসর্জনের রূপরেখা যেন লেখা হচ্ছে ধীরে ধীরে।

১৬ জুলাই যেন ২১ জুলাইয়ের ট্রেলার!

এস এন ব্যানার্জি রোড নয়, মিছিল ঢুকল লেনিন সরণী দিয়ে ধর্মতলায়। বিপরীত দিকে তৈরি হচ্ছে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা শুধু প্রস্তুতি নয়, এটা ছিল প্রদর্শনী—২১ জুলাইয়ের আগে রাজনীতির থার্মোমিটার মাপার চেষ্টা।

Leave a comment