বিহারে জেডিইউ-কে ধাক্কা, কংগ্রেসে যোগদান কুণাল আগরওয়ালের

বিহারে জেডিইউ-কে ধাক্কা, কংগ্রেসে যোগদান কুণাল আগরওয়ালের

বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সমীকরণ দ্রুত বদলাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর জন্য একটি বড় ধাক্কা লাগে যখন দলের রাজ্য মহাসচীব কুণাল আগরওয়াল কংগ্রেসে যোগদান করেন। রবিবার, ২৭ জুলাই পাটনার সদাকত আশ্রমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি কংগ্রেসের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের রাজ্য प्रभारी কৃষ্ণ আল্লাভারু এবং রাজ্য সভাপতি রাজেশ রাম উপস্থিত ছিলেন।

বানিয়া সমাজে প্রভাবশালী বলে পরিচিত কুণাল আগরওয়াল দীর্ঘ দিন ধরে গ্রামীণ রাজনীতিতে সক্রিয়। রজৌলি বিধানসভা এলাকায় তাঁর গভীর প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়। কংগ্রেসে যোগদানের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী আবহে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছেন।

কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে নেতাদের প্রতিক্রিয়া

प्रदेश কংগ্রেস प्रभारी কৃষ্ণ আল্লাভারু কুণাল আগরওয়ালের কংগ্রেসে যোগদানকে বিহারের রাজনীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করেছেন। তিনি বলেন, কুণালের মতো একজন কর্মঠ ও জনসমর্থন সম্পন্ন নেতার উপস্থিতি পার্টিকে তৃণমূল স্তরে শক্তিশালী করবে।

অন্যদিকে প্রদেশ সভাপতি রাজেশ রাম বলেন, কুণাল আগরওয়াল শুধু জেডিইউ-এর রাজ্য মহাসচীবই ছিলেন না, এর আগে তিনি যুব জেডিইউ-এর ঝাড়খণ্ড प्रभारी, জাতীয় মহাসচীব এবং कोषाध्यक्षের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দলের জন্য লাভজনক হবে।

কুণাল আগরওয়াল বললেন- এখন নতুন চিন্তা ও ন্যায়ের সময়

কংগ্রেসে যোগদানের পর কুণাল আগরওয়াল বলেন, দেশ ও বিহারের এই মুহূর্তে নতুন চিন্তা, যুবকদের অংশগ্রহণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জরুরি প্রয়োজন। তিনি বলেন, কংগ্রেসই একমাত্র দল যা সব শ্রেণীকে সঙ্গে নিয়ে চলে এবং গণতন্ত্রের প্রকৃত কণ্ঠস্বর হয়ে দাঁড়ায়। দলের আদর্শ ও নেতৃত্ব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রাজেশ রাম আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কুণাল আগরওয়াল আজ বানিয়া সমাজের একজন তেজস্বী এবং জনপ্রিয় যুব নেতা হিসেবে উঠে এসেছেন। তাঁর কংগ্রেসে যোগদান দলের জন্য সামাজিক স্তরে বড় সমর্থন আনতে পারে।

শত শত যুবকও কংগ্রেসের পতাকা ধরলেন

সদস্যপদ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কুণাল আগরওয়ালের সঙ্গে শত শত যুবকও কংগ্রেসের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। এতে কংগ্রেস তৃণমূল স্তরে নতুন শক্তি পেয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কুণাল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় শুধু জেডিইউ-এর ক্ষতিই হবে না, কংগ্রেসকেও আসন্ন নির্বাচনে সামাজিক সমীকরণ মেলাতে সাহায্য করতে পারে।

বিহারের রাজনীতিতে এই ঘটনা কংগ্রেসের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির ইঙ্গিত এবং আগামী দিনে এর প্রভাব স্পষ্ট দেখা যেতে পারে।

Leave a comment