গ্রেপ্তারের পটভূমি: গত ২৫ এপ্রিল হাওড়ার এক বাসিন্দা পুলিশে অভিযোগ করেন, প্রতারকরা ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ধাপ বাড়িয়ে হাওড়া সাইবার ক্রাইম শাখা মহারাষ্ট্রের করঞ্জার ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে আটক করে।
পুলিশি তদন্ত ও প্রাপ্ত তথ্য
সাইবার ক্রাইম শাখার একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতারকরা টাকা হাতানোর পরে তা ধৃত মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করত। মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার হদিশ পাওয়া গেছে। এছাড়া আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মানি ট্রান্সফার করা হয়েছে।মহিলা ম্যানেজারকে সোমবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ডিজিটাল জালিয়াতি ও সতর্কতার পরামর্শ
ডিজিটাল অ্যারেস্টের ঘটনা এখন জলভাত হয়ে গেছে। প্রত্যন্ত জেলা হোক বা বড় শহর, এই ধরনের প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ নয়। সামান্য অসতর্কতাই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারকেরা সাধারণত ফোন, ইমেল বা সামাজিক মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা এমন তথ্য ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের আতঙ্কিত করে যাতে শিকাররা পরিবার বা সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে দেরি করে।
হাওড়া সাইবার ক্রাইম শাখার ভূমিকা
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা নিয়মিত ডিজিটাল অপরাধের তদন্ত করছে। তারা প্রমাণ সংগ্রহ, ব্যাঙ্ক লেনদেন পরীক্ষা এবং অভিযুক্তদের ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে এই ধরনের প্রতারকদের ধরার চেষ্টা করছে।সাইবার ক্রাইম শাখার আধিকারিক বলেন, “ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের লোক হলেও, প্রতারকের সাথে জড়িত থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে। ডিজিটাল জালিয়াতির ক্ষেত্রে অবহেলা বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ভবিষ্যতে সতর্কতার বার্তা
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, ডিজিটাল লেনদেন বা অনলাইন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
ব্যক্তিগত তথ্য কখনও শেয়ার করবেন না।
ফোন কল বা ইমেলের মাধ্যমে ভয় দেখানো হলে পুলিশে অবিলম্বে অভিযোগ করুন।
ব্যাঙ্কে অস্বাভাবিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ককে সরাসরি অবহিত করুন।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা মহারাষ্ট্রের করঞ্জার এক মহিলা ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে। আশাকৃষ্ণা রাউতের নাম এখন ডিজিটাল জালিয়াতির তালিকায় আলোচ্য। অভিযোগ, ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভীতি দেখিয়ে এক ব্যক্তি থেকে ৪১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল।