২৩ মাস পর সীতাপুর জেল থেকে মুক্তি পেলেন আজম খান, কর্মীদের ভিড় জেলের বাইরে

২৩ মাস পর সীতাপুর জেল থেকে মুক্তি পেলেন আজম খান, কর্মীদের ভিড় জেলের বাইরে

সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেতা আজম খান প্রায় ২৩ মাস পর সীতাপুর জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার, ১৮ই মে, কোয়ালিটি বার মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর তাঁর মুক্তির পথ প্রশস্ত হয়েছিল। 

লখনউ: সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) প্রবীণ নেতা এবং উত্তর প্রদেশের রাজনীতির এক কিংবদন্তী আজম খানের মুক্তির অপেক্ষা অবশেষে শেষ হতে চলেছে। প্রায় ২৩ মাস জেলে কাটানোর পর আজ তিনি সীতাপুর জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন। যদিও তাঁর মুক্তি পেতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, আদালত সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রক্রিয়া এবং কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই তিনি জেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার, ১৮ই মে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court) আজম খানকে কোয়ালিটি বার মামলায় জামিন দিয়েছিল। এরপর তাঁর মুক্তির পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। শুক্রবার সকাল থেকেই সীতাপুর জেলের বাইরে সমাজবাদী পার্টির কর্মীদের বিশাল ভিড় জমতে শুরু করে। প্রত্যেকেই তাঁদের নেতার এক ঝলক দেখার জন্য উৎসুক।

মুক্তিতে কেন দেরি হচ্ছে?

সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আজম খানের মুক্তি সকাল ১০টার পরই সম্ভব হবে। এর কারণ হলো এখনও দুটি জরিমানা পরিশোধ করা বাকি আছে, যা কেবল আদালত খোলার পরই করা যাবে। আদালত খোলার পর আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই আজম খান জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন। অনুমান করা হচ্ছে যে প্রায় সকাল ১০:৩০ মিনিটে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।

সীতাপুর জেলের বাইরের পরিবেশ কোনো রাজনৈতিক সমাবেশের চেয়ে কম মনে হচ্ছে না। সমাজবাদী পার্টির শত শত কর্মী ও সমর্থক বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে এসেছেন। সবাই তাঁদের নেতাকে জোরদার স্বাগত জানাতে মরিয়া। দলের নেতারা মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় বলেছেন যে বর্তমান সরকার আজম খানের সাথে অন্যায় করেছে এবং তাঁকে ভুল মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাঁরা বলেছেন যে এই মুক্তি শুধুমাত্র আজম খান নয়, বরং পুরো রাজ্যের জন্য একটি নতুন অধ্যায় প্রমাণিত হবে।

আজম খানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ

যখন সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন যে আজম খান কি বিএসপি (BSP) তে যোগ দিতে পারেন, তখন সপা নেতারা এটিকে সম্পূর্ণ গুজব বলে অভিহিত করেছেন। তাঁরা বলেছেন যে আজম খান সমাজবাদী পার্টির ভিত্তি স্থাপন করেছেন এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এই দলেই থাকবেন। তাঁদের মতে, বিরোধীরা এমন গুজব শুধুমাত্র বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য ছড়াচ্ছে।

আজম খানের বড় ছেলে আদীব আজমও তাঁকে নিতে সীতাপুর জেলে পৌঁছেছেন। প্রাথমিকভাবে তিনি মিডিয়ার সাথে কথা বলতে অস্বীকার করেন, কিন্তু পরে বলেন যে এটি শুধু তাঁর জন্যই নয়, বরং পুরো রাজ্যের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। তিনি বলেন যে আজকের নায়ক হলেন তাঁর বাবা আজম খান, এবং ভবিষ্যতের কথা তিনিই নিজে জনগণের সামনে রাখবেন।

প্রায় দুই বছর জেলে থাকার পর আজম খান এখন খোলা বাতাসে শ্বাস নেবেন। তাঁর সমর্থকদের বিশ্বাস যে এই সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক চাপে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এখন তাঁর প্রত্যাবর্তন সমাজবাদী পার্টির জন্য নতুন শক্তির উৎস হতে পারে।

Leave a comment