মহারাষ্ট্রে মারাঠি ভাষা নিয়ে বিতর্ক বৃদ্ধি। মন্ত্রী নিতেশ রানে আমির খান এবং জাভেদ আখতারের নাম উল্লেখ করে তীব্র মন্তব্য করেছেন এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্রে মারাঠি ভাষা নিয়ে আবারও বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের এক ফুড স্টল মালিকের সাথে মারাঠি ভাষায় কথা না বলার কারণে মারধর করা হয়েছিল। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের মন্ত্রী নিতেশ রানে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি এই ঘটনাকে গুরুতর উল্লেখ করে বলেছেন যে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। একই সাথে, তিনি কিছু চাঞ্চল্যকর প্রশ্নও তুলেছেন।
মনসে কর্মীদের প্রতি অভিযোগ
ঘটনা অনুসারে, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (মনসে)-র কতিপয় কর্মী ফুড স্টলের মালিককে শুধুমাত্র এই কারণে মারধর করে, কারণ তিনি মারাঠি ভাষায় কথা বলছিলেন না। এই ঘটনাটি মুম্বাইয়ের একটি ব্যস্ত এলাকার, যেখানে ভাষা নিয়ে ক্রমবর্ধমান গোঁড়ামি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
নীতীশ রানের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিডিয়ার সাথে बातचीतকালে নিতেশ রানে সরাসরি বলেন, যদি কারো সাহস থাকে, তবে নাল বাজার, মোহাম্মদ আলী রোড বা মালওয়ানির মতো এলাকায় গিয়ে মারাঠি বলার কথা বলুন। তিনি বলেন, সেখানেও কি একই সাহস দেখানো হয়? এই মন্তব্যটি স্পষ্টতই মনসে কর্মীদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিল।
বলিউড তারকাদের নিয়ে প্রশ্ন
নীতীশ রানে বলিউড অভিনেতা আমির খান এবং লেখক জাভেদ আখতারের নামও উল্লেখ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, আমির খান বা জাভেদ আখতার কি মারাঠি বলেন? যদি না বলেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কেন কথা বলে না? তিনি বলেন, যখন কোনো গরিব হিন্দু হিন্দি বলে, তখন তাকে মারধর করা হয়। এই দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।
সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারি
মন্ত্রী রানে স্পষ্ট করেছেন যে রাজ্য সরকার এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই সহ্য করবে না। তিনি বলেন, এবার সরকার তার 'তৃতীয় নয়ন' খুলবে এবং নাগরিকদের উপর যারা दादाগিরি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দল এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
দিশা সালিয়ান মামলায় আবারও প্রশ্ন
সংবাদ সম্মেলনের সময় নীতীশ রানে দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভালো যে এই মামলাটি এখন আদালতে রয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে সত্য সামনে আসবে। তিনি পরোক্ষভাবে আদিত্য ঠাকরের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, যদি তার সাথে এর কোনো সম্পর্ক না থাকে, তাহলে তদন্তের ভয় কিসের?
রানে বলেন, কোনো ব্যক্তি কি নিজে স্বীকার করে যে সে খুন করেছে? যদি দিশা সালিয়ানকে ন্যায়বিচার দিতে হয়, তবে সত্য সামনে আনা জরুরি। একই সাথে তিনি আরও যোগ করেন যে, যদি সেই মামলায় সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে হয়তো আজ পুনেতে সংঘটিত ধর্ষণের মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটত না।