কংগ্রেস ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানিয়েছে

কংগ্রেস ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানিয়েছে

কংগ্রেস ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানিয়েছে। দলটি অপারেশন সিঁদুর, চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক এবং স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছে।

নয়াদিল্লি: কংগ্রেস পার্টি সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনার দাবি জানিয়েছে। দলটির বক্তব্য, সীমান্ত বিতর্ক, অর্থনৈতিক চাপ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এই বিষয়ে সংসদে ব্যাপক আলোচনা হওয়া উচিত। কংগ্রেস অপারেশন সিঁদুর এবং চীন-পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে কংগ্রেসের দাবি

কংগ্রেস বলেছে যে ভারত ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সরকারকে সংসদে স্বচ্ছতা দেখাতে হবে। দলটির যুক্তি, এটি জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র নীতির সঙ্গে জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যার উপর সংসদের মাধ্যমে ঐকমত্য তৈরি করা যেতে পারে।

অপারেশন সিঁদুরে আমেরিকার হস্তক্ষেপ

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (যোগাযোগ) জয়রাম রমেশ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিং এই তথ্য দিয়েছেন যে অপারেশন সিঁদুর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে বন্ধ করা হয়েছিল। কংগ্রেস এই ঘটনাটিকে গুরুতর উল্লেখ করে সংসদে এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে।

চীন-পাকিস্তান সামরিক সহযোগিতা নিয়ে উদ্বেগ

জয়রাম রমেশ বলেছেন যে চীন ক্রমাগত পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। সম্প্রতি চীনের কুনমিং শহরে চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ভারতের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, এই ধরনের কৌশলগত কার্যকলাপ সম্পর্কিত তথ্য সংসদকে জানানো উচিত।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার উপর প্রশ্ন

কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০১৯ সালের ১৯ জুনের সেই বক্তব্যের উল্লেখ করেছে, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে "চীন ভারতীয় সীমান্তে কোনো অনুপ্রবেশ করেনি"। দলটির বক্তব্য, এই বক্তব্য আজও প্রশ্নের মুখে এবং এর উপর সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত।

সরকারের আলোচনা এড়ানোর অভিযোগ

কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে কেন্দ্র সরকার গত পাঁচ বছর ধরে ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে সংসদে আলোচনা এড়িয়ে চলছে। দলটির বক্তব্য, এই বিষয় শুধু সীমান্ত বিতর্কে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা, কূটনৈতিক কৌশল এবং অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে।

জয়রাম রমেশ বলেছেন যে চীনের সঙ্গে সীমান্তে হওয়া কোনো সমঝোতা স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধার নয়। তিনি বলেন, দেশকে সত্যের মুখোমুখি হতে হবে এবং এর জন্য সংসদ সবচেয়ে উপযুক্ত মঞ্চ।

Leave a comment