আপনা দলে বড় পরিবর্তন: স্বামী আশিষ প্যাটেলের পদ কমালেন অনুপ্রিয়া প্যাটেল

আপনা দলে বড় পরিবর্তন: স্বামী আশিষ প্যাটেলের পদ কমালেন অনুপ্রিয়া প্যাটেল

अपना দল (সোনেলাল)-এর জাতীয় সভানেত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল সাংগঠনিক রদবদল ঘটিয়েছেন, যেখানে বড় পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনে তাঁর স্বামী এবং যোগী সরকারের মন্ত্রী আশিষ প্যাটেলের পদ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

UP Politics: উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে জোট সহযোগী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা আপনা দল (সোনেলাল)-এ বড় সাংগঠনিক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। দলের জাতীয় সভানেত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল তাঁর দলের কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিবর্তন এনেছেন, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে তাঁর স্বামী এবং ইউপি সরকারের মন্ত্রী আশিষ প্যাটেলের উপর।

অনুপ্রিয়া প্যাটেল একটি নতুন তালিকা প্রকাশ করে আশিষ প্যাটেলকে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে জাতীয় উপ-সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। অর্থাৎ, আশিষ প্যাটেল যিনি এতদিন দলে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন, তাঁকে এখন তৃতীয় স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে।

মাতা বদল তিওয়ারীকে বড় দায়িত্ব

নতুন সংগঠনে আশিষ প্যাটেলের উপরে মাতা বদল তিওয়ারীকে রাখা হয়েছে, যিনি জাতীয় উপ-সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন, তবে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পদটি এখন তাঁর হাতে। অর্থাৎ, অনুপ্রিয়া প্যাটেলের পরে দলের সবচেয়ে প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে মাতা বদল তিওয়ারীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন দলের অভ্যন্তরে অসন্তোষ এবং সম্প্রতি বিদ্রোহের পরে এসেছে, যাতে সংগঠনে ভারসাম্য বজায় রাখা যায় এবং নেতৃত্বের প্রতি আস্থা অটুট থাকে।

আসলে, গত কয়েক দিন ধরে আপনা দল (এস)-এর অভ্যন্তরে কোন্দল চলছিল। দলের কিছু পুরনো এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলাদা হয়ে আপনা মোর্চা নামে নতুন সংগঠন গড়ার ঘোষণা করেছিলেন। এই নেতারা এমনকি দাবি করেছিলেন যে আপনা দল (এস)-এর ১৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৯ জন তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। এতে দলীয় নেতৃত্বে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা শুরু হয়।

আশিষ প্যাটেল নিজেই লখনউতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে দল ঐক্যবদ্ধ এবং এই নতুন মোর্চা শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অংশ। তবে এই ঘটনার পর অনুপ্রিয়া প্যাটেল সংগঠনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই নতুন মুখগুলোও জায়গা পেয়েছে

সাংগঠনিক পরিবর্তনে শুধু আশিষ প্যাটেলের পদই কমেনি, বরং অনেক নতুন মুখকেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

  • কে কে প্যাটেলকে জাতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
  • রাকেশ যাদব, আলকা প্যাটেল এবং পপ্পু মালিকে জাতীয় সচিব নিযুক্ত করা হয়েছে।
  • অমিত প্যাটেল এবং রেখা বর্মাকে জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এই নিয়োগের মাধ্যমে দল স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে যে তারা নতুনদের সুযোগ দিচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ অসন্তোষকে প্রশমিত করার কৌশল নিয়ে কাজ করছে।

রাজনৈতিক সমীকরণে প্রভাব

আপনা দল (এস)-এর এই টানাপোড়েন শুধু দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২৫ সালের ইউপি বিধানসভা নির্বাচনের দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি জোটের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হওয়ায় আপনা দল (এস)-এর এই পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি বিজেপির উপরও পড়তে পারে।

যদি দলে ভাঙনের পরিস্থিতি গভীর হয়, তবে এটি এনডিএ-এর সমীকরণের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। সম্ভবত এই বিপদ দেখেই অনুপ্রিয়া প্যাটেল এক ঝটকায় সংগঠনের ভারসাম্য পরিবর্তন করে অসন্তুষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে দলের উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়নি।

Leave a comment