Maheshtala Suicide Case: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পাড়ায় রবিবার সন্ধ্যায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের পচাগলা দেহ। মৃতের নাম বাপি মণ্ডল (৩৫–৪০)। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাড়ি থেকে অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ বেরোতেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দরজা ভেঙে ঢুকে দেখতে পায়, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে বাপির দেহ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা।

বন্ধ ঘর থেকে মিলল ঝুলন্ত দেহ
রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ মহেশতলার রায়পাড়ার এক বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। স্থানীয়রা প্রথমে ধারণা করেছিলেন কোনও প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ জাগে। খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢোকে এবং দেখতে পায়, ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে বাপি মণ্ডলের দেহ।
স্থানীয়দের চোখের সামনে ভয়াবহ দৃশ্য
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর কার্যত হতবাক হয়ে যান। দেহ থেকে ভয়ঙ্কর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল, যা থেকে বোঝা যায়, মৃত্যু হয়েছে কয়েকদিন আগেই। প্রতিবেশীদের দাবি, বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে বাপি একাই থাকতেন এবং খুব একটা মেলামেশা করতেন না।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান: মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা
মহেশতলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তবে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পড়শিদের চোখে নিঃসঙ্গ বাপি মণ্ডল
স্থানীয়রা জানান, বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকেই বাপি একা থাকতে শুরু করেন। নিয়মিত কারও সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন না। সম্প্রতি তাঁকে কিছুটা চিন্তিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বলে জানান এক প্রতিবেশী। পরিবার না থাকায় তাঁর মানসিক অবসাদ বেড়ে গিয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত রিপোর্টেই মিলবে উত্তর
পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। আত্মহত্যা না অন্য কোনও কারণ—এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। স্থানীয়দের অনুরোধ, একাকী মানুষদের পাশে সমাজের দাঁড়ানো উচিত, যাতে এমন মর্মান্তিক পরিণতি আর না ঘটে।

মহেশতলায় এক যুবকের পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মৃতের নাম বাপি মণ্ডল (৩৫–৪০)। মানসিক অবসাদ নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।












