মৌসুমী বায়ুর প্রভাব: ১২ই সেপ্টেম্বর উত্তর ভারত সহ দক্ষিণ ভারতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

মৌসুমী বায়ুর প্রভাব: ১২ই সেপ্টেম্বর উত্তর ভারত সহ দক্ষিণ ভারতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

দেশে মৌসুমী বায়ুর গতি এখন কিছুটা কমতে দেখা যাচ্ছে, তবে কিছু রাজ্যে এর প্রভাব এখনও অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে সতর্কতা জারি করেছে।

Weather Update: দেশে মৌসুমী বায়ুর গতি ধীরে ধীরে কমছে, তবে উত্তর ভারতের কিছু অংশে বৃষ্টির প্রভাব এখনও অব্যাহত আছে। আবহাওয়া দপ্তর আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড এবং কাশ্মীর-এ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ ভারতেও প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই সময়ে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব দেশের বিভিন্ন অংশে অসমভাবে দেখা যাচ্ছে। যেখানে উত্তর ও পূর্ব ভারতে বৃষ্টির কারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেখানে দিল্লি এবং মধ্য প্রদেশের মতো অঞ্চলগুলিতে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকার আশা করা হচ্ছে।

দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশে আবহাওয়া কেমন থাকবে

দিল্লিবাসী স্বস্তি পেতে চলেছেন। আবহাওয়া দপ্তর অনুযায়ী, আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর রাজধানীতে কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে এবং রাতে ২০-৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে বাতাস বইবে। আগামী ৩-৪ দিন দিল্লিতে এমন আবহাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তর প্রদেশে আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর অনেক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। লখনউ আবহাওয়া দপ্তর অনুসারে, সাহারানপুর, মুজাফফরনগর, বিজৌর, মোরাদাবাদ, বেরেলি, পিলিভিট, বস্তি, बलरामপুর, গোন্ডা এবং বারােইচ-এ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দপ্তর জনগণকে সতর্কতা অবলম্বন এবং নিরাপদে থাকার আবেদন জানিয়েছে।

বিহারে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা, উত্তরাখণ্ড এবং ঝাড়খণ্ডেও বিপদ

বিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর পশ্চিম চম্পারণ, সারণ, সিওয়ান, মুজাফফরপুর, বাঁকা এবং ভাগলপুর-এ প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে। জনগণকে নদী-নালা এবং বন্যা-প্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ডে পিথোরাগড়, দেরাদুন, নৈনিতাল, পৌড়ি गढ़ওয়াল, উত্তর কাশি, উধম সিং নগর, চাম্পাওয়াত, tehri गढ़वाल, বাগতিশ্বর এবং রুদ্রপ্রয়াগ-এ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, পলামু, জামশেদপুর, বোকারো এবং গুমালা-তেও আবহাওয়া দপ্তর সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সতর্ক করেছে। উত্তরাখণ্ড এবং ঝাড়খণ্ডে হঠাৎ ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধস এবং নদী-নালা উফানে আসতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ করেছে।

হিমাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি

হিমাচল প্রদেশে আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর বৃষ্টির সম্ভাবনা কম এবং জনগণ স্বস্তি পেতে পারে। গত কয়েক মাসে হিমাচলে হওয়া বৃষ্টি ও বন্যার কারণে এখনও পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাঞ্জাবে বন্যা এখনও অব্যাহত রয়েছে, তবে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে রোদ ওঠার আশা করা হচ্ছে। পাঞ্জাবের ১৪০০ গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে এবং ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনডিআরএফ এবং রাজ্য প্রশাসন ত্রাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

মধ্যপ্রদেশে আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর বৃষ্টি থেকে স্বস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর কোনো সতর্কতা জারি করেনি, তবে গত কয়েক দিনে ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক অঞ্চলে জল জমেছে এবং ফসলের ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ ভারতে কেরালা, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু-তে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে। জেলে এবং গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a comment