মুजफ्फरপুরের ৯ বছরের পুরানো হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় সাহানি, তিনটি জাল আধার কার্ড তৈরি করে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছিল। গ্রামবাসীদের তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে न्यायिक হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
মুजफ्फरপুর: বিহারের মুजफ्फरপুর জেলা থেকে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। ৯ বছর আগে হওয়া এক খুনের প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় সাহানি, পুলিশকে লাগাতার ফাঁকি দিয়ে নিজের পরিচয় গোপন রেখেছিল। এই সময়ে সে নিজের পরিচয় বদলানোর জন্য তিনবার জাল আধার কার্ড তৈরি করেছিল। গ্রামবাসীদের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালতে পেশ করে न्यायिक হেফাজতে পাঠায়।
নয় বছর ধরে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছিল অভিযুক্ত
২০১৬ সালে বিজয় ছપરા গ্রামের কৈলাশ সাহানিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। কৈলাসের ছেলে অরুণ সাহানি এই ঘটনায় সঞ্জয় সাহানি সহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছিল। প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় সাহানি পুলিশের নাগালের বাইরে থেকে যাচ্ছিল। প্রতিবার পুলিশ যখন তাকে খুঁজতে অভিযান চালাত, সে ভিন্ন নাম ও ঠিকানার জাল আধার কার্ড দেখিয়ে পালিয়ে যেত।
তদন্তকারী অফিসার বদল হওয়ার পরেও সঞ্জয় নতুন পরিচয়ের জন্য দ্রুত জাল আধার কার্ড বানিয়ে নিয়েছিল। নয় বছর ধরে এই খেলা চলছিল, এবং সঞ্জয় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ এই বিষয়টি দেখেও অবাক ছিল যে কোনো ব্যক্তি এত দীর্ঘ সময় ধরে লাগাতার নিজের পরিচয় বদলে লুকিয়ে থাকতে পারে।
তিনটি জাল আধার কার্ড তৈরি করে আসল চেহারা লুকিয়েছিল
সঞ্জয় সাহানি মোট তিনটি জাল আধার কার্ড তৈরি করেছিল। প্রতিবারই তার নাম ও ঠিকানা আলাদা ছিল, কিন্তু সে আসল ব্যক্তি সেই একই ছিল। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে অভিযুক্তকে ধরা প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিল। তার জাল নথিপত্রের কারণে তদন্তও অনেকবার দীর্ঘায়িত হচ্ছিল।
তবে, গ্রামবাসীদের সতর্কতাই পুলিশকে সঠিক দিশা দেখিয়েছিল। গ্রামের এক ব্যক্তি গোপন তথ্য দেয় যে সঞ্জয় তার আসল ঠিকানায় উপস্থিত আছে। এরপর পুলিশ তার ছবি এবং পরিচয় যাচাই করে।
পুলিশের কৌশলে সঞ্জয় সাহানি গ্রেপ্তার
যাচাই করার পর পুলিশ সাধারণ পোশাকে जवानोंকে অভিযুক্তের চারপাশে মোতায়েন করে। যেমনই খবর পাওয়া যায় যে সঞ্জয় উপস্থিত আছে, পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে তাকে ধরে ফেলে। জিজ্ঞাসাবাদের পর সঞ্জয় সাহানিকে আদালতে পেশ করা হয় এবং न्यायिक হেফাজতে জেল পাঠানো হয়।
থানাধ্যক্ষ রোহন কুমার জানিয়েছেন যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হত্যা এবং জাল নথি তৈরির মামলায় আলাদা আলাদা ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এই বিষয়টিও খেয়াল রাখছে যে জাল নথি তৈরির ঘটনাগুলি রোধ করার জন্য ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রামবাসীদের তথ্যে অভিযুক্ত ধরা পড়ল
এই গ্রেপ্তার প্রমাণ করেছে যে গ্রামীণ সম্প্রদায় এবং পুলিশের অংশীদারিত্ব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। থানাধ্যক্ষ বলেছেন যে মানুষের সতর্কতা এবং তথ্য অপরাধীদের ধরতে সাহায্য করে।
একই সঙ্গে পুলিশ জনসাধারণকে আবেদন করেছে যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের তথ্য অবিলম্বে থানায় জানান, যাতে অপরাধীদের দীর্ঘ সময় পালিয়ে থাকার সুযোগ না থাকে।