সঞ্চয়-বিনিয়োগে ঝোঁক বাড়ছে কর্মীদের: নৌকরি রিপোর্ট

সঞ্চয়-বিনিয়োগে ঝোঁক বাড়ছে কর্মীদের: নৌকরি রিপোর্ট

নতুন কর ব্যবস্থার প্রভাব: কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়করের ছাড় বাড়ানোর পর থেকেই কর্মীদের আর্থিক আচরণে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। নৌকরি-র সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, নতুন কর কাঠামোয় ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কর না লাগার সুবিধায় অনেক কর্মী উদ্বৃত্ত অর্থ খরচ না করে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের পথে হাঁটছেন।

২০ হাজার কর্মীর উপরে সমীক্ষা

এই রিপোর্টের ভিত্তি সারা দেশের ২০ হাজারের বেশি কর্মীকে নিয়ে করা এক সমীক্ষা। উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা এখন সঞ্চয় এবং বিভিন্ন বিনিয়োগ উপকরণে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। ৩০ শতাংশ কর্মী উদ্বৃত্ত অর্থ ঋণ মেটাতে ব্যবহার করছেন। অন্যদিকে মাত্র ৯ শতাংশ জীবনযাত্রা উন্নত করতে, এবং ৪ শতাংশ অবসর ও ভ্রমণে খরচ করছেন।

বেতনের সঙ্গে সঞ্চয়ের সম্পর্ক

রিপোর্টে উঠে এসেছে, যাঁদের বার্ষিক আয় ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, তাঁরা বিলাসী খরচ এড়িয়ে সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং ঋণ পরিশোধে বেশি ঝুঁকছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম নতুন কর ব্যবস্থার সুযোগ সম্পর্কে বেশি ওয়াকিবহাল। সমীক্ষা অনুযায়ী, ৬৪ শতাংশ নতুন কর্মী নতুন কর ব্যবস্থার সব দিক সম্পর্কে সচেতন, যেখানে ৪৩ শতাংশ এখনও বিষয়টি স্পষ্টভাবে বোঝেননি।

খাতভেদে সঞ্চয় প্রবণতা

শিল্পক্ষেত্রভেদে পার্থক্যও নজরে এসেছে। নতুন প্রযুক্তি খাতে কর্মরতদের ৭৬ শতাংশ সঞ্চয়ে আগ্রহী, যা সর্বাধিক। অটো খাতে ৬৩ শতাংশ এবং ফার্মা খাতে ৫৭ শতাংশ কর্মী সঞ্চয় ও বিনিয়োগে জোর দিচ্ছেন। এফএমসিজি খাতে ৬৪ শতাংশ এবং আতিথেয়তা শিল্পে ৬০ শতাংশ কর্মী দীর্ঘমেয়াদি অবসর পরিকল্পনায় জোর দিচ্ছেন।

সঞ্চয়ের নিরিখে দিল্লি এবং গুরুগ্রামের কর্মীরা সবচেয়ে এগিয়ে। যথাক্রমে ৬৩ শতাংশ এবং ৬৪ শতাংশ কর্মী সেখানে সঞ্চয়কেন্দ্রিক আর্থিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। চেন্নাইয়ে সঞ্চয়প্রবণতা তুলনায় কম, মাত্র ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে মুম্বইয়ের কর্মীরা অবসরকালীন বিনিয়োগ প্রকল্পে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

Leave a comment