ধসের ভয়াবহতায় চারদিনের স্থবিরতা
গত ৩ আগস্ট শ্বেতিঝোরায় টানা বৃষ্টির ফলে ভয়াবহ ধস নামে। সড়কের বড় একটি অংশ ভেঙে তিস্তা নদীতে তলিয়ে যায়, যার ফলে বাংলা-সিকিমের মধ্যে সমস্ত যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে পড়ে। বহু পর্যটক, পণ্যবাহী ট্রাক এবং স্থানীয় যানবাহন আটকে যায় বিভিন্ন স্থানে। বিকল্প রাস্তা দিয়েও তখন যাতায়াত সম্ভব হয়নি, ফলে পর্যটন শিল্প ও স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় আঘাত লাগে।
NHIDCL-এর জরুরি মেরামত অভিযান
পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুত উদ্যোগ নেয় NHIDCL। সংস্থার আধিকারিক রাহুল কুমার গুপ্তা জানান, পাহাড় কেটে নতুন করে রাস্তা নির্মাণ করতে হয়েছে, যা সময়সাপেক্ষ ছিল। আপাতত একমুখী যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও নীচু এলাকা ও ক্ষতিগ্রস্ত অংশে দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে। সংস্থার দাবি, শিগগিরই সড়ক পুরোপুরি চালু হবে।
বিকল্প রুটে আংশিক সমাধান
বর্তমানে সিকিমের রংপো থেকে শিলিগুড়ি রুট শ্বেতিঝোরায় অবরুদ্ধ থাকায় বিকল্প পথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রংপো থেকে মুনসং-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তাটি কাটারায় ধসে বন্ধ থাকলেও, লাভা থেকে সিকিম, কালিম্পং ও শিলিগুড়ি (ভায়া গরুবাথান) রুট খোলা রয়েছে। এছাড়া রংপো থেকে মেল্লি হয়ে দক্ষিণ সিকিমে সংযোগ বজায় আছে। তবে লাভা-লোলেগাঁও ও লাভা-রেশি হয়ে সিকিমগামী পথ এখনও বন্ধ।
কালিম্পং পুলিশের সতর্কতা ও নির্দেশিকা
যাত্রীদের স্বার্থে কালিম্পং পুলিশ গ্যাংটক যাওয়ার জন্য তিনটি বিকল্প রুটের কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি পর্যটক ও চালকদের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে, কারণ পাহাড়ি রাস্তায় বৃষ্টি ও ধসের ঝুঁকি এখনও রয়েছে। ফলে NH-10 আংশিকভাবে চালু হলেও যাতায়াতের আগে আবহাওয়া ও রাস্তার পরিস্থিতি জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।