উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ জানাতেই পরিবারকে ‘আরজি কর কাণ্ড’-এর আদলে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি। ইতিমধ্যেই একজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও, আরেকজন এখনও পলাতক। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পরিবার।
North 24 Parganas Woman Harassment: উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ঘটনাটি পুলিশের কাছে জানানো মাত্রই পরিবারের উপর চাপ তৈরি হয়। অভিযুক্তদের তরফে ‘আরজি কর’ ঘটনার মতো খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পুলিশ ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে, তবে অপর অভিযুক্ত এখনও পলাতক। পরিস্থিতির জেরে গৃহবন্দী অবস্থায় দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তরুণী ও তাঁর পরিবার।
দত্তপুকুরে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী যুবকরা
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। পরিবারের অভিযোগ, দুই প্রতিবেশী যুবক তরুণীকে নির্যাতন ও ধর্ষণ করে। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ এক অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসকে গ্রেফতার করেছে। তবে অপর অভিযুক্ত শুভ সাহা এখনও পলাতক।
থানায় অভিযোগ করতেই হুমকি
পরিবারের দাবি, অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। অভিযুক্তদের তরফে ‘আরজি কর’-কাণ্ডের আদলে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, থানায় জমা দেওয়া অভিযোগ তুলতে বাধ্য করার চেষ্টাও চলছে। আতঙ্কে বাইরে বেরোতে পারছেন না তরুণী ও তাঁর মা।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ: ধর্ষিতা তরুণীর পরিবারের দাবি, অভিযোগ জানানোর পরেও কার্যত নিষ্ক্রিয় পুলিশ। থানায় যোগাযোগ করলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তরুণীর মায়ের কথায়— ‘‘পুলিশের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছি, কিন্তু কিছুই করছে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকেও সাহায্য পাইনি। মেয়েকে তালাবন্দি করে রেখে বাইরে বেরোতে হচ্ছে। আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।’’
অভিযুক্ত পলাতক, তদন্তে পুলিশ: পুলিশের দাবি, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তকে জেরা চলছে। অন্যদিকে শুভ সাহা নামের পলাতক অভিযুক্ত নাকি ভিনরাজ্যে পালিয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যদিও পরিবারের অভিযোগ, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
দত্তপুকুরের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একদিকে পরিবার লাগাতার হুমকির মুখে, অন্যদিকে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় স্তরে সহযোগিতা না পাওয়ার ক্ষোভও জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ, তবে পরিবার চাইছে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।