পারফেক্ট পাল পায়েস: রেসিপি, উপকরণ ও তৈরির সহজ পদ্ধতি

পারফেক্ট পাল পায়েস: রেসিপি, উপকরণ ও তৈরির সহজ পদ্ধতি

পাল পায়সম একটি হালকা, ক্রিমি এবং সুগন্ধি মিষ্টি, যা দুধ, বাসমতী চাল, কেশর এবং এলাচ দিয়ে তৈরি হয়। এটি গরম বা ঠান্ডা পরিবেশন করা যেতে পারে এবং শুকনো ফল দিয়ে সাজানো যেতে পারে। 

Paal Payasam recipe: ভারতীয় ব্যঞ্জনে পায়েসের নাম শুনলেই মুখে মিষ্টি লেগে যায়। এটি শুধু একটি মিষ্টি নয়, আনন্দ ও উৎসবের প্রতীকও বটে। পায়েসের অনেক রূপ প্রচলিত আছে—দুধ দিয়ে তৈরি, চাল দিয়ে তৈরি, সুজি বা সাগু দিয়ে তৈরি। কিন্তু আজ আমরা কথা বলব পাল পায়েস নিয়ে, যা এর স্বাদ, গন্ধ এবং পুষ্টির জন্য বিশেষ।

পাল পায়েসের স্বাদ হালকা, ক্রিমি এবং সমৃদ্ধ হয়। এতে ব্যবহৃত দুধ এবং বাসমতী চাল এটিকে নরম করে তোলে, যেখানে কেশর এবং এলাচ এর গন্ধ এবং স্বাদ বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে। এই মিষ্টি শিশু এবং বয়স্ক উভয়দের জন্য শক্তি এবং স্বাস্থ্যের একটি চমৎকার উৎস।

পাল পায়েস তৈরির উপকরণ

  • ৪ ১/২ কাপ দুধ
  • ১/৪ কাপ বাসমতী চাল (৩০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখা)
  • ১/৪ কাপ দুধ (কেশর ভেজানোর জন্য)
  • ১/৪ টেবিল চামচ কেশর
  • ১/২ কাপ চিনি
  • ১/২ টেবিল চামচ এলাচ গুঁড়ো

নোট: চিনির পরিমাণ নিজের পছন্দ অনুযায়ী বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।

পাল পায়েস তৈরির পদ্ধতি

  1. কেসরের দুধ তৈরি করা
    প্রথমে একটি ছোট বাটিতে হালকা গরম দুধ নিন এবং তাতে কেশর দিন। এটি ভালোভাবে মেশান এবং একপাশে রেখে দিন। এই মিশ্রণ পায়েসের মধ্যে কেশরের রং এবং সুগন্ধ যোগ করবে।
  2. চাল এবং দুধ রান্না করা
    একটি গভীর নন-স্টিক প্যানে বাকি দুধ ঢালুন এবং মাঝারি আঁচে গরম করুন। এবার ভেজানো চাল দিন এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন এবং ৭ মিনিট ধরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে চাল এবং দুধ মেশাতে থাকুন যাতে দুধ প্যানের কিনারে লেগে না যায়।
  3. পায়েস ঘন করা
    এর পরে পায়েস আরও ৪ মিনিট ধরে রান্না করুন। চাল হালকা হাতে ম্যাশ করুন যাতে এটি দুধের সাথে ভালোভাবে মিশে যায়। এতে পায়েসের স্বাদ এবং গঠন আরও ভালো হয়ে যায়।
  4.  স্বাদ এবং সুগন্ধ যোগ করা
    এবার এতে চিনি দিন, তারপর কেশর মেশানো দুধ দিন এবং ভালোভাবে মেশান। সবশেষে এলাচ গুঁড়ো দিন। মাঝারি আঁচে ২ মিনিট ধরে রান্না করুন এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। এতে পায়েসের মিষ্টি, গন্ধ এবং রং সম্পূর্ণরূপে মিশে যায়।
  5. পরিবেশন করা
    পাল পায়েস গরম বা ঠান্ডা উভয় ভাবেই পরিবেশন করা যায়। গরম পায়েস খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে, যেখানে ঠান্ডা পায়েস সতেজতা এবং শীতলতা দেয়। এটি কাজু, বাদাম বা পেস্তার টুকরা দিয়ে সাজানো যেতে পারে।

পাল পায়েস তৈরির টিপস

  • পায়েসকে কম আঁচে রান্না করুন যাতে এটি ঘন এবং ক্রিমি হতে পারে।
  • পায়েস বার বার নাড়াচাড়া করা জরুরি যাতে চাল প্যানের কিনারায় লেগে না যায়।
  • আপনি চাইলে পায়েসের মধ্যে শুকনো মেওয়া যোগ করে এটিকে আরও সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর করতে পারেন।
  • কেশরকে হালকা গরম দুধে ভিজিয়ে রাখলে এর রং এবং সুগন্ধ সম্পূর্ণরূপে ছড়িয়ে যায়।

পাল পায়েস একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ভারতীয় মিষ্টি, যা বিশেষ অনুষ্ঠান এবং উৎসবে আনন্দের প্রতীক হয়ে ওঠে। সঠিক উপকরণ এবং পদ্ধতি অনুসরণ করে এটি ক্রিমি, সুগন্ধি এবং লাজবাব হয়ে ওঠে। কেশর, এলাচ এবং শুকনো ফল এর স্বাদ এবং পুষ্টি বৃদ্ধি করে। এটি গরম বা ঠান্ডা পরিবেশন করা যেতে পারে এবং সব বয়সের মানুষের জন্য আনন্দদায়ক।

Leave a comment