আমেরিকা কর্তৃক TRF-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর পাকিস্তান ১৬-২৩ জুলাই পর্যন্ত তাদের আকাশসীমা বন্ধ করেছে। এটিকে নিরাপত্তা মহড়া বলা হলেও, ভারতের বিমান হামলার আশঙ্কাও একটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
Pakistan Airspace Closed: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি আবারও উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তান ১৬ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এর পিছনে নিরাপত্তা কারণের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সময় এবং পরিস্থিতি দেখে অনেক প্রশ্ন উঠছে যে এটি কেবল একটি সামরিক মহড়া নাকি ভারতের সম্ভাব্য বিমান হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি?
নোটিশ জারি করে বন্ধ করা হল আকাশসীমা
পাকিস্তান ১৬ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সেন্ট্রাল সেক্টরের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও, ২২ এবং ২৩ জুলাই দক্ষিণ পাকিস্তানের আকাশসীমাও বন্ধ করা হয়েছে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সামরিক মহড়া এবং সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের কথা মাথায় রেখে এটি করা হয়েছে।
TRF-এর উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং পাকিস্তানের উদ্বেগ
সম্প্রতি, আমেরিকা লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে যুক্ত ফ্রন্ট সংগঠন দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট (TRF)-কে একটি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করেছে। মার্কিন বিদেশ দফতরের এই পদক্ষেপের ফলে TRF-এর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা এবং মার্কিন নাগরিকদের সাথে যে কোনও লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে TRF সম্পর্কে প্রমাণ পেশ করে আসছে। TRF জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালায় এবং এটিকে লস্করের একটি গোপন শাখা হিসাবে মনে করা হয়। TRF-এর উপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার পরে পাকিস্তানের উদ্বেগ বাড়া স্বাভাবিক, কারণ এতে আন্তর্জাতিক স্তরে তাদের উপর চাপ বাড়তে পারে।
পহেলগাম হামলা এবং অপারেশন সিন্দুরের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় বিদেশি পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এতে TRF-এর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর পরে, ভারত অপারেশন সিন্দুরের অধীনে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিগুলিতে হামলা করে প্রতিশোধ নেয়।
এই অভিযানের পর পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকাণ্ডে তৎপরতা দেখা গেছে। আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করা, সামরিক বাহিনীর মোতায়েন বৃদ্ধি করা এবং নজরদারি কার্যক্রম জোরদার করা এরই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তান কি চীনের কাছ থেকে সামরিক সমর্থন পেয়েছে?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি চীনের কিছু কার্গো বিমানকে পাকিস্তানে চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে অনুমান করা হচ্ছে যে চীন পাকিস্তানেকে নতুন সামরিক প্রযুক্তি, অস্ত্র বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সরবরাহ করেছে।