কলকাতা: Petrol-Diesel GST: রাজ্য রাজনীতিতে জ্বালানি মূল্যের বিষয়ে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বললেন, পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনা প্রয়োজন। তিনি অভিযোগ করেন, জিএসটি বাস্তবায়নে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই এবং সাধারণ মানুষ উপযুক্ত সুবিধা পাচ্ছে না। শমীকের এই মন্তব্য রাজ্যের রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
শমীক ভট্টাচার্যর সরাসরি মন্তব্য
শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনা প্রয়োজন। তৃণমূল এই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয় বাস্তবায়নে পিছিয়ে রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ এখনও জ্বালানির খরচে প্রভাবিত হচ্ছেন এবং সরকারের কার্যক্রম সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জ্বালানি মূল্যের বিষয়টি আগামী নির্বাচনী প্রচারণায় বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।
জনমতের প্রতিক্রিয়া
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। নাগরিক ও ব্যবসায়ীরা জ্বালানি মূল্যের বৃদ্ধি এবং জিএসটির প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানিকে জিএসটির আওতায় আনা হলে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় রাজস্ব সমন্বয় সহজ হবে।
অর্থনৈতিক প্রভাব ও সম্ভাব্য পদক্ষেপ
জিএসটি প্রবর্তনের মাধ্যমে জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং রাজ্য রাজস্ব ব্যবস্থায় সমতা আসবে। তবে তৃণমূল সরকারের কার্যকারিতা এবং রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে এই বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জপূর্ণ হতে পারে।শমীক ভট্টাচার্যর এই মন্তব্য পেট্রোল-ডিজেল জ্বালানির ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিতর্ককে আরও জোরদার করেছে। ভবিষ্যতে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপ এই বিষয়ে সাধারণ জনগণকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।
পাঠকরা নিয়মিত স্থানীয় খবর ও সরকারি আপডেট মনিটর করে জ্বালানির নতুন নীতি ও কর কাঠামো সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানতে পারেন।বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য শনিবার বললেন, পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনা উচিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জিএসটি বাস্তবায়নে তৃণমূলের কোনও কার্যকর ভূমিকা নেই। এই মন্তব্যে রাজ্যের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিতর্ক আরও জোরদার হয়েছে।