ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ৪ অগাস্ট থেকে ভারত সফরে থাকবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদী, রাষ্ট্রপতি মুর্মু এবং বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করবেন। এই সফর বাণিজ্য এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
Philippines President Visit: ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ আর. মার্কোস জুনিয়র ৪ অগাস্ট থেকে ভারত-এর সরকারি সফরে আসছেন। ২০২২ সালে তিনি पदभार গ্রহণের পর এই প্রথম তিনি ভারত সফরে আসছেন। এই উচ্চ-পর্যায়ের সফরটি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা প্রধান আকর্ষণ
এই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এই বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সমুদ্র সুরক্ষা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রগুলিতে বিস্তারিত আলোচনার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, এই আলোচনা ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির অধীনে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং জয়শঙ্করের সঙ্গেও হবে সাক্ষাৎ
ভারত সফরকালে রাষ্ট্রপতি মার্কোস দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও, তিনি বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস. জয়শঙ্করের সঙ্গেও দেখা করবেন, যেখানে বিদেশ নীতি, আঞ্চলিক সমস্যা এবং বিশ্ব কৌশলগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বেঙ্গালুরু সফরে ব্যবসা এবং প্রযুক্তির উপর ফোকাস
রাষ্ট্রপতি মার্কোস ৮ অগাস্ট ভারত থেকে রওনা হওয়ার আগে বেঙ্গালুরু সফর করবেন। এই শহরটি ভারতের প্রধান প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন কেন্দ্র। এই সফরে তার প্রধান লক্ষ্য থাকবে IT, স্টার্টআপ এবং ডিজিটাল সেক্টরে সম্ভাবনাগুলি অনুসন্ধান করা। এছাড়াও, তিনি ভারতীয় বাণিজ্য প্রতিনিধি এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগ অংশীদারদের সঙ্গেও মতবিনিময় করতে পারেন।
৭৫ বছর পুরোনো সম্পর্ক পাবে নতুন মাত্রা
ভারত ও ফিলিপাইনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ১৯৪৯ সালে স্থাপিত হয়েছিল। ২০২৪ সাল এই সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী। এই সময়ে, উভয় দেশ বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, फार्मा এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করেছে। আজ এই সম্পর্ক কেবল ঐতিহ্যগত স্তরেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কৌশলগতভাবেও যথেষ্ট গভীর।
হিন্দ-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি
ভারত ও ফিলিপাইন উভয়ই हिंद-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিয়ম-ভিত্তিক ব্যবস্থাকে महत्व দেয়। ভারতের "Act East Policy" এবং "Indo-Pacific Vision"-এর অধীনে ফিলিপাইনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। সমুদ্র সুরক্ষা, সামরিক মহড়া এবং কৌশলগত সমন্বয়ের মতো বিষয়গুলি এই সহযোগিতার মূল অংশ।
প্রতিরক্ষা এবং সামুদ্রিক অংশীদারিত্বের উপর থাকবে বিশেষ নজর
ফিলিপাইনের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী হয়েছে। বিশেষ করে ब्रह्मोस মিসাইল সিস্টেমের চুক্তির পর এই অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি মার্কোসের এই সফর প্রতিরক্ষা শিল্প, हथियार ব্যবস্থা এবং সামুদ্রিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে আরও বেশি সহযোগিতার পথ খুলে দিতে পারে।
ভারতের স্টার্টআপ इकोसिस्टम এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবন সেক্টর ফিলিপাইনের জন্য আকর্ষণের বিষয়। বেঙ্গালুরু সফরের সময় সম্ভাব্য সহযোগিতার নতুন পথ খোলা যেতে পারে, বিশেষ করে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, সাইবার সিকিউরিটি, হেলথটেক এবং এগ্রো-টেক সেক্টরে।