বাংলাদেশে প্লেন দুর্ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টার চাঁদা চাওয়া। পোস্টে তীব্র প্রতিবাদ। সরকারের সমালোচনা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পোস্ট সরানো হল।
Bangladesh Plane Crash: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সম্প্রতি হওয়া সামরিক প্লেন দুর্ঘটনা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দুর্ঘটনায় અત્યાર পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে এবং বহু लोग আহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে চাঁদা দেওয়ার আবেদন জানান, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। পোস্টে বলা হয়েছিল, এই দান "মুখ্য উপদেষ্টা ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল"-এ জমা করা হোক।
জনগণের ক্ষোভ প্রকাশ
ফেসবুকে এই পোস্টটি করার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশি নাগরিকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, সরকারের কি এতটুকুও সামর্থ্য নেই যে তারা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে পারে। এক নাগরিক লেখেন, "এখন কি দেশ চালাতেও ভিক্ষা করতে হবে?"
পোস্টের प्रामाणিকতা নিয়ে কোনো সন্দেহ রইল না
এই পোস্টটি ২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে দুপুর ২টার পরে ফেসবুকে করা হয়। 'দ্য ডেইলি স্টার' পত্রিকার अनुसार, এই পোস্টটি ইউনুসের অফিসিয়াল পেজ থেকে করা হয়েছিল এবং তার वरिष्ठ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ সরকারের প্রেস উইংয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও শেয়ার করেছিলেন। এতে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে পোস্টটি ভুয়া ছিল না, বরং সরকারি স্তর থেকেই করা হয়েছিল।
প্রতিবাদের মুখে পোস্ট সরাতে বাধ্য হল
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইউনুসের অফিস পোস্টটি সরাতে বাধ্য হয়। সরকারের ওপর সমালোচনার ঝড় ওঠে। લોકો বলেন, দুর্ঘটনার মতো গুরুতর বিষয়ে চাঁদা চাওয়া সরকারের ব্যর্থতা દર્શાવે છે। এক ইউজার লেখেন, গত বছর বন্যা তহবিলের ১২০০ কোটি টাকা কোথায় গেল?
ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ
দুর্ঘটনার পর সরকারের কর্মকর্তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন, তখন उन्हें ભારે বিরোধের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউনের अनुसार, ছাত্ররা শিক্ষা সচিব এবং উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানায়। ઘણા ছাত্রদের অভিযোগ, সরকার সত্য গোপন করছে અને স্বচ্ছতার অভাব છે।
বিরোধীপক্ষের আক্রমণ, আওয়ামী লীগের প্রশ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগও এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পার্টির অভিযোগ, সরকার ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ওপর পুলিসের মাধ্যমে કાર્યવાહી করে अपने दायित्व থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা বলেছেন যে সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস এবং গুলি চালিয়ে জনগণের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।