প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৮ই জুলাই মোতিহারিতে ৭২17 কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে রেল লাইন ডবলিং, ফোরলেন হাইওয়ে এবং একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Bihar: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৮ই জুলাই বিহারের মোতিহারিতে প্রায় ৭২17 কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এই অনুষ্ঠানটি গান্ধী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি জনসভায় ভাষণও দেবেন।
বিহারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ
রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এ পর্যন্ত ১১ বছরে ৫৩ বার বিহার সফর করেছেন, যা কোনও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সর্বাধিক। তিনি বলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার একসঙ্গে বিহারকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন।
দরভাঙ্গা-নারকাটিয়াগঞ্জ রেল লাইন দ্বিগুণ করা হবে
এই সফরে প্রধানমন্ত্রী দরভাঙ্গা-নারকাটিয়াগঞ্জ রেল লাইনের দ্বিগুণ করার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই প্রকল্পটি রেলওয়ে নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করতে এবং পরিবহন ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। এতে যাত্রী সুবিধাও বাড়বে।
NH-319 এবং অন্যান্য সড়ক প্রকল্পের বিস্তার হবে
প্রধানমন্ত্রী মোদী এনএইচ-319 এর পারাইয়া (বোধগয়া) থেকে মোহানিয়া (কাইমুর) অংশকে ফোরলেনে রূপান্তরিত করার প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এছাড়াও, NH-3330-এর সরওয়ান থেকে চাকাই পর্যন্ত দুই লেনের রাস্তার সম্প্রসারণ ও চওড়া করার কাজও করা হবে।
কাটিহার জেলায় এনএইচ-81 এর অংশও পাকা কাঁধের সাথে দুই লেনে প্রসারিত করা হবে। এই প্রকল্পগুলি যান চলাচলকে সহজ করবে এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।
বিহারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রতিশ্রুতি
সম্রাট চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর মনে বিহারের জন্য বিশেষ স্থান রয়েছে। তিনি সর্বদা রাজ্যকে উন্নত অবকাঠামো, রাস্তা, রেল এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলির সাথে যুক্ত করার দিকে কাজ করেছেন। পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম বিহারকে ক্রমাগত বড় প্রকল্প দেওয়া হচ্ছে, যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে সম্ভব করে তুলছে।
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
প্রধানমন্ত্রী মোদীর মোতিহারি সফর উপলক্ষে ভারত-নেপাল সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হোটেল, লজ এবং ছাত্রাবাসে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। আকাশপথেও নজরদারি করা হচ্ছে এবং এয়ারফোর্সের হেলিকপ্টার নিয়মিত টহল দিচ্ছে।
এসপিজির আধিকারিক এবং স্থানীয় প্রশাসন অনুষ্ঠানস্থল, হেলিপ্যাড এবং আশেপাশের দুই কিলোমিটার এলাকাকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে রেখেছে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এবং ডগ স্কোয়াডের দলও মোতায়েন রয়েছে। আধা-সামরিক বাহিনী এবং এসএসবি জওয়ানদের ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতার সাথে মোতায়েন করা হয়েছে।
একাধিক জেলা সরাসরি উপকৃত হবে
এই প্রকল্পগুলির সরাসরি সুবিধা পাবে দরভাঙ্গা, নারকাটিয়াগঞ্জ, কাইমুর, গয়া, কাটিহার এবং চাকাইয়ের মতো জেলাগুলি। সড়ক ও রেল যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত সহজ হবে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যও বাড়বে।
রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্রের অংশগ্রহণ
বিহারের জন্য কেন্দ্র সরকারের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে রাজ্যকে মূল স্রোতে যুক্ত করতে মোদী সরকার কতটা সক্রিয়। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে শক্তিশালী করার দিকে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। বিশেষ করে বিহারের মতো রাজ্যকে মৌলিক সুবিধা এবং শক্তিশালী অবকাঠামো দেওয়ার জন্য এই প্রকল্পগুলি খুবই জরুরি।