ভাদ্র মাসের প্রথম প্রদোষ ব্রত ২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে পালিত হবে। এই দিনে ভগবান শিবের পূজা ও ব্রত পালন করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয় এবং সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ করা যায়। ব্রতের সময় বেল পাতা, ধুতরা, গঙ্গাজল, দুধ, দই, মধু ইত্যাদি দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করা শুভ বলে মনে করা হয়।
নয়াদিল্লি: ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি ২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে পড়ছে, যা ভাদ্র মাসের প্রথম প্রদোষ ব্রত হিসেবে বিবেচিত হবে। এই দিনে সূর্যাস্তের পরে প্রদোষকালে ভগবান শিবের পূজা করার বিধান আছে। ব্রতধারী ব্যক্তি সকালে স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করুন এবং শিবলিঙ্গের অভিষেক করুন। পূজায় বেল পাতা, ফুল, ফল, দুধ, দই, মধু, ঘি এবং চন্দন ব্যবহার করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই ব্রত পালন করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রদোষ কালের গুরুত্ব
প্রদোষ কাল হল সূর্যাস্তের ঠিক পরের সময়। এই সময় ভগবান শিব বিশেষভাবে প্রসন্ন থাকেন। বিশ্বাস করা হয় যে প্রদোষকালে পূজা করলে সকল মনোকামনা পূর্ণ হয় এবং জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে।
ভগবান শিবের বিশেষ কৃপা পাওয়ার জন্য এই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই সময় ব্রত রাখা এবং পূজা-অর্চনা করা পরিবারে ইতিবাচক শক্তি এবং আশীর্বাদ নিয়ে আসে।
প্রদোষ ব্রতের পূজা বিধি
প্রদোষ ব্রতের দিন সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে স্নান করুন এবং পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করুন। ব্রতের সংকল্প নিন এবং মনে মনে ভগবান শিবের ধ্যান করুন। পূজার জন্য একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থান বেছে নিন এবং সেখানে শিবলিঙ্গ বা ভগবান শিবের মূর্তি স্থাপন করুন।
পূজায় বেল পাতা, ধুতরা, আকন্দ ফুল, গঙ্গাজল, গরুর দুধ, দই, মধু, ঘি, চিনি এবং চন্দন ব্যবহার করুন। প্রথমে শিবলিঙ্গের অভিষেক করুন, তারপর ফুল, বেল পাতা এবং ফল অর্পণ করুন। পূজার সময় ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ মন্ত্র জপ করুন এবং প্রদোষ ব্রতের कथा পাঠ করুন। পূজার শেষে ভগবান শিবের আরতি করুন এবং প্রসাদ বিতরণ করুন।
ব্রতের দিন উপবাস করাও শুভ বলে মনে করা হয়। কিছু लोग निर्जला व्रत रखते हैं, तो कुछ फलाहारी या জল व्रत करते हैं। व्रत पूरी श्रद्धा और निष्ठा से रखना चाहिए।
প্রদোষ ব্রতের মাহাত্ম্য
প্রদোষ ব্রতকে অত্যন্ত ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, যে ব্যক্তি এই ব্রত সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা ও বিধিपूर्वक পালন করে, সে ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর আশীর্বাদ লাভ করে।
এই ব্রত পালন করলে জীবনে আসা বাধা ও অসুবিধা দূর হয়। রোগ, দোষ ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর সাথে সাথে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি আসে এবং সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়।
প্রদোষ ব্রত শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবনেই लाभদায়ক নয়, এটি ঘরে ইতিবাচক শক্তির संचार করে। এর ফলে মনের শান্তি, আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং মানসিক ভারসাম্য অর্জিত হয়।
কে প্রদোষ ব্রত রাখতে পারে
প্রদোষ ব্রত যেকোনো বয়সের ব্যক্তি রাখতে পারে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মে এটিকে পরিবারের সকল সদস্যের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। নারী ও পুরুষ উভয়ই এই ব্রত রাখতে পারেন।
এই দিনে ভগবান শিবের পূজা করলে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। ব্যবসা ও চাকরিতে সাফল্য আসে এবং কঠিন পরিশ্রমের ফল পাওয়া যায়।