প্রশান্ত কিশোরের বিস্ফোরক অভিযোগ: মঙ্গল পান্ডে ও দিলীপ জয়সোয়ালের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের গুরুতর অভিযোগ

প্রশান্ত কিশোরের বিস্ফোরক অভিযোগ: মঙ্গল পান্ডে ও দিলীপ জয়সোয়ালের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের গুরুতর অভিযোগ

প্রশান্ত কিশোর বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ জয়সওয়ালের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মঙ্গল পান্ডে দিলীপ জয়সওয়ালের মেডিক্যাল কলেজকে টাকা দেওয়ার পর ডিমড ইউনিভার্সিটির মর্যাদা পাইয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনা বিহারের রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

Prashant Kishor: পাটনায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশান্ত কিশোর অভিযোগ করেন যে, করোনা কালে মঙ্গল পান্ডে দিল্লির দ্বারকায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, যেখানে দিলীপ জয়সোয়াল আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। পিকে জানান, এই লেনদেনে দুর্নীতির গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, মঙ্গল পান্ডে তার ২০২০ সালের হলফনামায় ঋণের তথ্য গোপন করেছেন। এই অভিযোগ বিহারের রাজনীতিতে বিতর্ক ও জবাবদিহিতার দাবি বাড়াচ্ছে।

বিহারের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী অভিযোগ

শুক্রবার পাটনায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশান্ত কিশোর জানান যে, করোনা মহামারীর সময় মঙ্গল পান্ডে দিল্লির দ্বারকায় ৮৬ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, যেখানে দিলীপ জয়সোয়াল আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। তিনি আরও জানান যে, এই টাকা বিভিন্ন লেনদেনের মাধ্যমে মঙ্গল পান্ডের পরিবারের কাছে পৌঁছেছিল। পিকে এই আর্থিক যোগসূত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যে, এই সম্পর্ক শুধুমাত্র রাজনৈতিক নাকি এতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই खुलासाটি বিহারের রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

ডাক্তার-ভেন্ডার থেকে শুরু করে পার্টি নেতা পর্যন্ত

প্রশান্ত কিশোর অভিযোগ করেছেন যে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে তার ২০২০ সালের হলফনামায় ঋণের তথ্য গোপন করেছেন। তিনি বলেন যে, মন্ত্রী শুধু ডাক্তার-ভেন্ডারদের থেকেই টাকা নিচ্ছেন না, বরং এখন নিজের দলের নেতা এবং মেডিক্যাল কলেজ পরিচালক দিলীপ জয়সোয়ালের থেকেও ঘুষ নিচ্ছেন। প্রশান্ত কিশোরের মতে, এই ঘুষ নেওয়ার পরেই দিলীপ জয়সোয়ালের কলেজ ডিমড ইউনিভার্সিটির মর্যাদা পেয়েছে, যা একটি বড় দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়।

রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবি

প্রশান্ত কিশোর জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে, এই ধরনের গুরুতর অভিযোগগুলি উপেক্ষা করা উচিত নয়। তিনি বলেন যে, গণতন্ত্রের উন্নতির জন্য নেতাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আবশ্যক। এই বিষয়টি বিহারের রাজনৈতিক দল এবং জনগণের মধ্যে গভীর বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, যার ফলে আসন্ন রাজনৈতিক তৎপরতা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই মামলাটি কেবল বিহারের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীনদের ভাবমূর্তির উপর প্রভাব ফেলবে তাই নয়, বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসংগ্রামকেও নতুন শক্তি দেবে। প্রশান্ত কিশোরের অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জবাবদিহিতা ও নৈতিকতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, যা আগামী দিনে আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

Leave a comment