Pressure Cooker Safety Tips: রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হলেও, প্রেশার কুকারও এক সময়ে বিপজ্জনক হতে পারে। অর্থোপেডিক সার্জন ডঃ মনন ভোরা একটি ভাইরাল ভিডিওতে জানান, পুরনো কুকারের ধাতব স্তর ও গ্যাসকেট থেকে নির্গত সীসা (Lead) ধীরে ধীরে শরীরে জমে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। বিশেষত অ্যাসিডিক খাবার রান্নার সময় এই সীসা খাবারে মিশে যেতে পারে। তাই তিনি পরামর্শ দেন—প্রেশার কুকারেরও এক্সপায়ারি ডেট আছে, তা জেনে ব্যবহার করা উচিত।

রান্নার সময় বাঁচালেও বিপদ লুকিয়ে প্রেশার কুকারে
আজকাল প্রেশার কুকার ছাড়া রান্নাঘর ভাবাই যায় না। কয়েক মিনিটেই রান্না হয় ভাত, ডাল, মাংস বা সবজি। কিন্তু ডঃ ভোরার মতে, নিয়মিত ব্যবহারে পুরনো কুকারের ধাতব স্তর ক্ষয়ে যায়, ফলে সীসা খাবারে মিশে যায়—যা শরীরের জন্য বিষের মতো কাজ করে।
বিষাক্ত সীসা জমে শরীরে বিপজ্জনক প্রভাব ফেলে
ডঃ ভোরা সতর্ক করেছেন—সীসা শরীর থেকে সহজে বের হয় না; বরং রক্ত, হাড় ও মস্তিষ্কে জমা হয়। এতে ক্লান্তি, স্নায়বিক সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও মুড সুইংয়ের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি আরও বেশি, কারণ তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ প্রভাবিত হতে পারে।

অ্যালুমিনিয়াম কুকার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, স্টিল সবচেয়ে নিরাপদ
২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালুমিনিয়াম ও পিতলের পাত্রে রান্না করা খাবারে সীসার পরিমাণ বিপজ্জনকভাবে বেশি ছিল। এর তুলনায় স্টেইনলেস স্টিলের কুকার সবচেয়ে নিরাপদ। তাই চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানরা পরামর্শ দেন, পুরনো অ্যালুমিনিয়াম কুকার বাদ দিয়ে স্টিলের কুকার ব্যবহার করা উচিত।
এই তিনটি লক্ষণ দেখলেই বদলে ফেলুন প্রেশার কুকার
ডঃ ভোরার মতে, কুকার বদলানোর আদর্শ সময় সাধারণত ১০ বছর। তবে বয়স নয়, লক্ষণই আসল সংকেত।
কুকারের ভিতরের অংশে দাগ বা ক্ষয় দেখা দিলে
সিটি বা ঢাকনা আলগা হয়ে গেলে
রান্নার পর খাবারে ধাতব গন্ধ এলে — সঙ্গে সঙ্গে কুকারটি ফেলে দিন।

অ্যাসিডিক খাবার রান্নায় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন
ডায়েটিশিয়ান অঞ্জলি গুপ্তা জানিয়েছেন, টমেটো, লেবু বা তেঁতুলের মতো অ্যাসিডিক খাবার রান্নার সময় ধাতু সহজে খাবারে মিশে যায়। তাই পুরনো কুকারে এমন খাবার রান্না একেবারেই করা উচিত নয়। নতুন ও সার্টিফায়েড স্টিল কুকারই সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প।

Pressure Cooker Warning: পুরনো বা খোঁচা পড়া প্রেশার কুকারে রান্না করলে খাবারে মিশতে পারে বিষাক্ত সীসা, যা শরীরে জমে মস্তিষ্ক ও হাড়ে ক্ষতি করতে পারে। অর্থোপেডিক সার্জন ডঃ মনন ভোরার পরামর্শ—নির্দিষ্ট কয়েকটি লক্ষণ দেখলেই কুকারটি অবিলম্বে বদলে ফেলুন।













