Fixed Deposit Laddering Strategy: ব্যাংকের স্থায়ী আমানত বা FD সবসময়ই নিরাপদ বিনিয়োগের অন্যতম মাধ্যম। তবে অনেক সময় একটিমাত্র FD রাখলে রিটার্ন সীমিত থাকে। তাই অর্থনীতিবিদরা পরামর্শ দেন ‘ল্যাডারিং’ কৌশল গ্রহণের। এতে একাধিক মেয়াদে FD খুললে বিনিয়োগে ভারসাম্য আসে—প্রয়োজনে তারল্য বজায় থাকে, আবার দীর্ঘমেয়াদে সুদের হার বাড়লে তারও সুফল পাওয়া যায়। এই পরিকল্পনা স্বল্প ঝুঁকিতে ধারাবাহিক আয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

FD কেন জনপ্রিয় বিনিয়োগ মাধ্যম
ফিক্সড ডিপোজিট এমন এক বিনিয়োগ পদ্ধতি যেখানে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য টাকা জমা রাখা হয় এবং নির্দিষ্ট সুদ অর্জন করা যায়। যারা স্টক মার্কেট বা মিউচুয়াল ফান্ডের অস্থিরতা এড়িয়ে স্থিতিশীল আয় চান, তাদের কাছে FD অন্যতম সেরা বিকল্প। এর নির্ধারিত সুদের হার বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিন্ত রিটার্নের গ্যারান্টি দেয়।
নিরাপত্তা ও নিয়মিত আয়ের নিশ্চয়তা
FD-তে বিনিয়োগের অন্যতম বড় সুবিধা হলো এর নিরাপত্তা। বাজারের ওঠানামা এতে প্রভাব ফেলে না। উপরন্তু, ব্যাংক চাইলে মাসিক বা ত্রৈমাসিক সুদ প্রদানের ব্যবস্থা রাখে, যার ফলে অবসরপ্রাপ্ত বা নির্দিষ্ট আয়ের ব্যক্তিদের জন্য এটি আদর্শ পরিকল্পনা হয়ে ওঠে।

ল্যাডারিং বিনিয়োগ কৌশল কীভাবে কাজ করে
ল্যাডারিং মানে একাধিক মেয়াদে একাধিক FD খোলা — যেমন ১ বছর, ২ বছর, ৩ বছর মেয়াদি আমানত। এতে প্রতিটি FD আলাদা সময়ে ম্যাচিওর হয়, ফলে নিয়মিত টাকার প্রবাহ বজায় থাকে। এছাড়া যখন সুদের হার বাড়ে, তখন পুরনো FD নবায়ন করে বেশি সুদের সুবিধা নেওয়া যায়।
ঝুঁকি কমানো ও তারল্য বাড়ানোর স্মার্ট উপায়
একটিমাত্র ব্যাংকে FD রাখলে নির্ভরতার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ল্যাডারিংয়ের সময় বিভিন্ন ব্যাংকে বিনিয়োগ ভাগ করে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে একদিকে ঝুঁকি কমে, অন্যদিকে প্রয়োজনে অল্প মেয়াদের FD ভেঙে সহজে তারল্য বজায় রাখা যায়।

উচ্চ রিটার্ন ও স্থায়ী আয়—দুটোই সম্ভব
ল্যাডারিং কৌশলের মাধ্যমে আপনি একই সঙ্গে উচ্চ রিটার্ন ও স্থায়ী আয় পেতে পারেন। স্বল্পমেয়াদে তারল্য বজায় থাকবে, আর দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ সুদের হার থেকে লাভ নেওয়া সম্ভব হবে। এটি মূলত নিরাপত্তা, আয় এবং নমনীয়তার এক ভারসাম্যপূর্ণ বিনিয়োগ কৌশল।

Investment Tips: শুধুমাত্র এক মেয়াদের ফিক্সড ডিপোজিট (FD) নয়, একাধিক মেয়াদের এফডি বানালেই বদলে যাবে রিটার্নের খেলা। ল্যাডারিং কৌশলে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি কমবে, তারল্য বাড়বে এবং বাজারে সুদের হার বাড়লে আরও বেশি মুনাফা পাওয়া যাবে।












