আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিভা শর্মা জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার ২০২৫-এর জন্য নির্বাচিত

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিভা শর্মা জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার ২০২৫-এর জন্য নির্বাচিত

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিভা শর্মা प्रतिष्ठित জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার ২০২৫-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। ৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শিক্ষক দিবসে তাঁকে সম্মানিত করবেন।

আলিগড়: উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের মুসলিম ইউনিভার্সিটির (AMU) কলা অনুষদের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক বিভা শর্মা জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার ২০২৫-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শিক্ষক দিবসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে এই পুরস্কার প্রদান করবেন। অধ্যাপক শর্মা সারা দেশের ২১ জন নির্বাচিত শিক্ষকের মধ্যে অন্যতম, যাঁদের ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক বিশেষভাবে সম্মানিত করবে।

এই পুরস্কার ভারতে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা শিক্ষকদের জন্য সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান হিসেবে বিবেচিত হয়। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে একটি প্রশংসাপত্র, রৌপ্য পদক এবং ৫০,০০০ টাকার নগদ পুরস্কার, যা শিক্ষকের নিষ্ঠা ও গুণমান সম্পন্ন শিক্ষাদানের প্রতি সম্মানের প্রতীক।

অধ্যাপক বিভা শর্মার সাফল্যে ছাত্র-শিক্ষকগণ আনন্দিত

অধ্যাপক বিভা শর্মার এই অর্জনে এএমইউ-এর ছাত্র এবং শিক্ষকেরা অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র সম্প্রদায় তাঁর এই কৃতিত্বকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত মর্যাদা ও সম্মানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক নইমা খাতুন অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, এই সম্মান শুধুমাত্র অধ্যাপক শর্মার শিক্ষাগত দায়বদ্ধতা ও পাণ্ডিত্যের প্রমাণ নয়, এটি এএমইউ-এর সেই অঙ্গীকারকেও প্রতিফলিত করে যা শিক্ষা ক্ষেত্রে উৎকর্ষতাকে উৎসাহিত করে। তিনি অধ্যাপক শর্মার MOOCs এবং SWAYAM কোর্সের ডিজাইন-এ অবদান এবং নাটক ও মঞ্চ অধ্যয়ন বিষয়ে তাঁর দক্ষতারও বিশেষভাবে প্রশংসা করেছেন।

সহ-উপাচার্য অধ্যাপক এম. মহসিন খান বলেছেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের মুহূর্ত এবং এটি শিক্ষাগত সংস্কৃতি ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে এমন একটি পরিবেশের নিশ্চয়তা দেয়।

অধ্যাপক বিভা শর্মার পড়াশোনা এবং দায়িত্ব

অধ্যাপক শর্মা শুধুমাত্র একজন চমৎকার শিক্ষিকা নন, তিনি এএমইউ-এর জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য হিসেবেও সক্রিয়। তাঁর অবদান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও মিডিয়া ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক টিএন সতীশন তাঁর গবেষণা, উদ্ভাবনী শিক্ষণ পদ্ধতি এবং ছাত্র-কেন্দ্রিক শিক্ষণ শৈলীর প্রশংসা করেছেন। তাঁর কাজ শুধুমাত্র অনুষদের মর্যাদাই বৃদ্ধি করে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিচিতিও দৃঢ় করে।

তাঁর শিক্ষণ শৈলী এবং গবেষণা কর্ম ছাত্র ও সহকর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণা। অধ্যাপক শর্মা বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্য ও নাট্যচর্চা বিভাগে নতুন শিক্ষাগত উদ্যোগ নিয়েছেন, যা এএমইউ-এর শিক্ষাগত মান এবং গুণমানকে আরও উন্নত করেছে।

জাতীয় স্তরে সম্মান ও স্বীকৃতি

এএমইউ-এর রেজিস্ট্রার মহম্মদ ইমরান বলেছেন, এই জাতীয় সম্মান শিক্ষকদের আরও উচ্চতর সাফল্য অর্জন এবং দেশ গঠনে অবদান রাখতে উৎসাহিত করবে। এই ধরনের পুরস্কার শিক্ষকদের মধ্যে নতুন শক্তি ও দায়িত্ববোধ সঞ্চার করে।

জনসংযোগ আধিকারিক ওমর পীরজাদা জানান, অধ্যাপক শর্মার মিডিয়া দক্ষতা এবং জনসংযোগ কৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে আরও শক্তিশালী করেছে। তাঁর এই জাতীয় সম্মান এএমইউ-এর শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা।

সম্ভাবনা রয়েছে অধ্যাপক শর্মা এএমইউ-এর প্রথম শিক্ষিকা যিনি এই মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন এবং শিক্ষা জগতে গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণার উৎস হবে।

Leave a comment