দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে এবারের দুর্গোৎসবকে ঘিরে নতুন ঢেউ—সোনা, রুপো বা অক্সিডাইজড নয়, এবার মাত করেছে পোড়ামাটির গয়না। দামও তুলনায় অনেক কম, আর মানের দিক থেকেও নজর কাড়ছে সকলের। ফলে পুজোর আগে বাজারে এই গয়নার চাহিদা আকাশছোঁয়া।
অনন্য আকর্ষণ পোড়ামাটির অলংকারে
যা সাধারণত সচরাচর চোখে পড়ে না, তাই এবারের বিশেষ ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে পোড়ামাটির তৈরি দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতীর অলংকার। মহিলাদের কাছে এর আবেদন এতটাই প্রবল যে প্রচলিত সোনা-রুপোকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে। কেবল টুকরো গয়না নয়, দেবী অলংকরণেও এর ব্যবহার বাড়ছে।
শুরুতে তেমন সাড়া না, এখন তুঙ্গে চাহিদা
শুরুতে এই গয়নার দিকে খুব একটা ভিড় ছিল না। কিন্তু পুজো যতই ঘনিয়ে এসেছে, বাজারে ততই বেড়েছে এর কদর। বালুরঘাটের সৃজনী সংঘ এলাকার বাসিন্দা নন্দিতা গুহ এই গয়নার কাজ শুরু করেছিলেন নেহাত শখে। এখন সেই কাজই তাঁর রুজিরোজগারের প্রধান ভরসা হয়ে উঠছে।
যোগান দিতে হিমশিম শিল্পীরা
চাহিদা যতই বাড়ছে, ততই নন্দিতাদের মতো শিল্পীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বরাত পাওয়া অর্ডার সময়মতো ডেলিভারি দিতে রীতিমতো রাতদিন এক করে কাজ করছেন তাঁরা। স্থানীয় বাজারে যেভাবে আগ্রহ বাড়ছে, তাতে পোড়ামাটির গয়না সামলাতে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে শিল্পীদের।
আধুনিক গয়নার ভিড়েও নতুনত্বে মাত পোড়ামাটি
শহরের অত্যাধুনিক দোকানে রকমারি সোনা-রুপোর গয়না থাকলেও কেন পোড়ামাটির দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা? একাধিক মহিলা জানিয়েছেন, প্রতি বছর পুজোয় কিছু না কিছু নতুন কিনলেও এবারের এই বিশেষ অলংকার তাঁদের কাছে অনন্য। দাম কম, ব্যবহার সহজ আর নিজের মতো করে বেছে নেওয়ার সুবিধা এই গয়নাকে আলাদা করেছে।
ভিন্নতা ও নিজস্বতার ছোঁয়ায় মাত বাজার
পোড়ামাটির গয়নার মধ্যে দুর্গার মুখমণ্ডল থেকে শুরু করে লক্ষ্মী-সরস্বতীর প্রতীকী অলংকার পাওয়া যাচ্ছে। নিজস্ব পছন্দমতো অর্ডার দিয়ে বানানোও সম্ভব। ফলে এর মধ্যে ভিন্নতা ও ব্যক্তিগত ছোঁয়া দুই-ই মেলে। আর এই কারণেই সবার নজর কাড়ছে পোড়ামাটির এই অনন্য সাজসজ্জা।