অমৃতসরে বন্যা দুর্গতদের ৬.৭০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ বিতরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান

অমৃতসরে বন্যা দুর্গতদের ৬.৭০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ বিতরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান অমৃতসরের বন্যা-আক্রান্ত ৬৬৯টি পরিবারকে ৬.৭০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই প্রক্রিয়াটি নির্ধারিত ৪৫ দিনের সময়সীমার অনেক আগেই শুরু করেছেন।

অমৃতসর: মুখ্যমন্ত্রী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন যে, ১১ সেপ্টেম্বরের ঘোষণা অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণ বিতরণ ২৮ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তাঁর সরকার সময়সীমার আগেই বিতরণ শুরু করেছে। এই পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের তৎপরতা এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রমাণ করে।

অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ বিতরণ 

মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেন যে, ক্ষতিপূরণ বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য প্রথমবারের মতো অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করা হয়েছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, এর ফলে নিশ্চিত হয়েছে যে কোনো উপভোক্তার প্রতি অবিচার হবে না এবং সবাই সময়মতো তাদের প্রাপ্য অর্থ পাবে।

তিনি আরও বলেন যে, আজ অমৃতসর জেলার ৬৬৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে মোট ৬.৭০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বাকি উপভোক্তাদেরও এই অর্থ দ্রুত সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।

বন্যায় অমৃতসরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান অমৃতসর জেলায় ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেছেন:

  • আক্রান্ত গ্রাম: ১৯৮টি
  • ধ্বংসপ্রাপ্ত ফসল: ৫৯,৭৯৩ একরের বেশি
  • সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়ি: ৯৫৮টি
  • আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি: ৩,৭১১টি
  • গবাদি পশুর মৃত্যু: ৩০৭টি
  • মানব ক্ষয়ক্ষতি: ১০ জনের প্রাণহানি, প্রতিটি পরিবারকে ইতিমধ্যেই ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, বন্যায় জেলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে এবং সরকারের তৎপরতায় ত্রাণ বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

রাজ্যের অন্যান্য জেলায় ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া শুরু

মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, মঙ্গলবার থেকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা অন্যান্য জেলায় ক্ষতিপূরণ বিতরণ শুরু করবেন। রাজ্যজুড়ে ২,৫০৮টি গ্রামে ফসল ক্ষতির বিশেষ সমীক্ষা করা হয়েছে।

এছাড়াও, ৮২৫টি গ্রামে দায়ের করা আপত্তির সমাধান করা হয়েছে এবং ২০টি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এটি নিশ্চিত করে যে কোনো কৃষক বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি অবিচার হবে না।

Leave a comment