পাঞ্জাব সরকার রাজ্যের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে নতুন গতি আনার লক্ষ্যে সেমিকন্ডাক্টর পার্ক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান মঙ্গলবার চণ্ডীগড়ে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠককালে বলেন, পাঞ্জাবকে এই ক্ষেত্রের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার সম্ভাব্য সবকিছু করবে। তিনি বলেন, সেমিকন্ডাক্টর চিপস আজ প্রায় প্রতিটি ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে এর ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী এই উপলক্ষে বলেন, সেমিকন্ডাক্টর শিল্প শুধু প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিরও একটি বড় উৎস। তিনি জানান, এই ক্ষেত্রটি জাতীয় অর্থনীতিতে ২০ থেকে ২৩ শতাংশ বার্ষিক হারে অবদান রাখছে। মুখ্যমন্ত্রী মান ভরসা দেন যে, পাঞ্জাব সরকার এই ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য নীতিগত সমর্থন, পরিকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ করবে।
প্রযুক্তিগত বিস্তারের ব্যাপক সম্ভাবনা
মুখ্যমন্ত্রী মান সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের বহুমাত্রিক উপযোগিতার ওপর আলোকপাত করে বলেন, এর পরিধি ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল, শিল্প অটোমেশন, টেলিকম, এ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা, শক্তি, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড কম্পিউটিং, স্মার্ট ডিভাইস এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পর্যন্ত বিস্তৃত। তিনি জানান, ভারত আজ বিশ্বব্যাপী দ্রুত উদীয়মান সেমিকন্ডাক্টর কেন্দ্র হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করছে, যেখানে ফেব্রিকেশন ইউনিট, চিপ ডিজাইন এবং ইডিএ (ইলেকট্রনিক ডিজাইন অটোমেশন)-এর মতো ক্ষমতা ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে।
মোহালিতে সেমিকন্ডাক্টর পার্ক স্থাপনের ওপর জোর
মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাঞ্জাবে এই শিল্পের বিকাশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে এবং রাজ্য সরকার এই সুযোগগুলো সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগাতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, সরকার মোহালি এবং এর আশেপাশে একটি ডেডিকেটেড সেমিকন্ডাক্টর পার্ক প্রতিষ্ঠার দিকে কাজ করছে, যা বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এবং প্রযুক্তিগত ভিত্তি মজবুত করতে সহায়ক হবে। এর পাশাপাশি তিনি এও স্পষ্ট করেন যে, এই উদ্যোগ রাজ্যের যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ নিয়ে আসবে।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী সঞ্জীব অরোরা, শিল্প সচিব কে.কে. যাদব, 'ইনভেস্ট পাঞ্জাব'-এর সিইও অমিত ঢাকা এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।