ওড়িশার পুরী জেলায় ১৫ বছর বয়সী কিশোর বিশ্বজিৎ সাহু রেললাইনে রিল বানানোর সময় দ্রুতগতির ট্রেনের ধাক্কায় পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
পুরী: ওড়িশার পুরী জেলায় ১৫ বছর বয়সী কিশোর বিশ্বজিৎ সাহু ট্রেনের ধাক্কায় মর্মান্তিকভাবে মারা গেছে। ঘটনাটি জনকা দেইপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ঘটে। তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজিৎ এবং তার বন্ধু সখীগোপাল ভিডিও রিল বানানোর জন্য রেললাইনে দাঁড়িয়েছিল, তখনই দ্রুতগতির একটি ট্রেন বিশ্বজিৎকে ধাক্কা দেয়।
স্থানীয়রা কিশোরটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনা আবারও তরুণদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট তৈরির ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেছে।
রিল বানানোর সময় ট্রেনের ধাক্কা
বিশ্বজিৎ এবং সখীগোপাল তাদের গ্রাম বিরগবিন্দাপুরের দক্ষিণকালী মন্দিরে পূজা করতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তারা বীরপ্রতাপপুরের কামরূপা মন্দিরে যায় এবং ফেরার পথে জনকা দেইপুর রেললাইনে থেমে ভিডিও রিল বানাতে শুরু করে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় যে বিশ্বজিৎ রেললাইনের খুব কাছে দাঁড়িয়েছিল এবং পিছন থেকে আসা ট্রেনটির আঁচ করতে পারেনি। ট্রেনের ধাক্কায় সে ট্র্যাকের পাশে ছিটকে পড়ে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে পারেনি।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের তদন্ত শুরু
ঘটনার খবর পেয়ে পুরী জিআরপি (Government Railway Police) ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং মামলার তদন্ত শুরু করে। হাসপাতাল ও পুলিশ জানিয়েছে যে কিশোরটির মৃত্যু তাৎক্ষণিকভাবে হয়েছিল এবং হাসপাতালে কোনো সাড়া মেলেনি।
পুলিশ তদন্ত করে দেখবে যে কী পরিস্থিতিতে কিশোরটি রেললাইনে গিয়েছিল এবং তার সুরক্ষায় কেউ অবহেলা করেছিল কিনা।
রিল তৈরি তরুণদের জন্য বিপজ্জনক
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল এবং ভিডিও বানানোর উন্মাদনা তরুণদের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হচ্ছে। এমন অনেক ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে কিশোর-কিশোরীরা এবং শিশুরা কেবল ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরির জন্য নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে।
বিশ্বজিৎ সাহুর এই দুর্ঘটনা একটি সতর্কতা এবং সচেতনতার বার্তাও দেয়। পিতামাতা এবং শিক্ষকদের উচিত শিশুদের রেললাইন ও অন্যান্য বিপজ্জনক স্থানে ভিডিও তৈরি করা থেকে বিরত রাখার দায়িত্ব নেওয়া।