দিল্লি-NCR-এ গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলা একটানা হালকা বৃষ্টির পর রাজধানীর আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম এবং আরামদায়ক হয়ে উঠেছে। মেঘের আচ্ছাদন এবং ঠান্ডা হাওয়া গরমে অতিষ্ঠ হওয়া মানুষদের জন্য এনেছে এক দারুণ স্বস্তি।
আবহাওয়া আপডেট: উত্তর ভারতে ২০২৩ সালের বর্ষা সম্পূর্ণভাবে প্রবেশ করেছে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে। বিশেষ করে দিল্লি-NCR, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং বিহারে ভারী বৃষ্টি মানুষের গরম ও আর্দ্রতা থেকে মুক্তি দিয়েছে। এছাড়াও, ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (IMD) আগামী দিনগুলোর জন্য বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করেছে।
দিল্লি-NCR-এ মনোরম আবহাওয়া
গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লি-NCR-এ থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হওয়ার কারণে পরিবেশ খুবই আনন্দদায়ক হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, আগামী ৭-৮ দিন মেঘলা আকাশ থাকবে এবং হালকা বৃষ্টি (light to moderate rain) হতে থাকবে। তাপমাত্রাও কমেছে, যা মানুষকে অনেক স্বস্তি দিয়েছে।
রাজস্থানে অনেক এলাকায় ভারী বৃষ্টি, সতর্কতা জারি
রাজস্থানে বর্ষা সম্পূর্ণ সক্রিয়। গত ২৪ ঘন্টায় চাকসুতে সবচেয়ে বেশি ৯৭ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। IMD Jaipur-এর মতে, পূর্ব রাজস্থানে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে, যেখানে পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি বৃষ্টি দেখা গেছে। বিশেষ করে কোটা, ভরতপুর, জয়পুর, আজমীর এবং উদয়পুর বিভাগে ১২-১৩ জুলাই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (Heavy to Very Heavy Rain) সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরাখণ্ডে ঝোড়ো বৃষ্টি, অনেক এলাকায় রেকর্ড বৃষ্টিপাত
উত্তরাখণ্ড আবহাওয়া আপডেট অনুযায়ী রাজ্যের দেরাদুন, मसूरी, নৈনিতাল, হলद्वानी, রানীখেত, চম্পাবত এবং বাগেস্বর-এর মতো এলাকাগুলোতে গত ২৪ ঘন্টায় ভালো বৃষ্টি হয়েছে। मसूरी-তে ১৩০.২ মিমি, চম্পাবতের टनকपुर-এ ১৩৬ মিমি এবং দেরাদুনের হাতিবড়কলা-তে ১১৮ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টি একদিকে যেমন মানুষকে গরম থেকে মুক্তি দিয়েছে, তেমনই ভূমিধস (landslides) এবং রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দিয়েছে।
হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টিতে রাস্তা বন্ধ
হিমাচল প্রদেশ বর্ষা সংবাদ অনুসারে, ভারী বৃষ্টির কারণে জাতীয় সড়ক-৩ (NH-3), যা পাঞ্জাবের আটারিকে লাদাখের লেহ-এর সঙ্গে যুক্ত করে, তার মান্ডি-ধরমপুর অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যে মোট ২৪৫টি রাস্তা এখনও বন্ধ রয়েছে। মানালি, জুব্বারহাটি, পাওন্টা সাহেব, নাহান-এর মতো অঞ্চলে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও, রাজ্য সরকার পর্যটকদের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আবেদন জানিয়েছে।
বিহারে বর্ষা গতি ধরেছে
IMD Bihar ১৮টি জেলায় হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert) জারি করেছে, যার মধ্যে গয়া, পাটনা, ভাগলপুর, দ্বারভাঙা, সমস্তিপুর-এর মতো প্রধান শহরগুলি রয়েছে। এই অঞ্চলগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা পর্যন্ত বেগে হাওয়া বইতে পারে। যদিও হলুদ সতর্কতা গুরুতর নয়, তবে এর কারণে নিচু এলাকাগুলিতে জল জমা (waterlogging) এবং স্থানীয় বন্যা (localized flooding) হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও বাইরের কাজকর্ম এবং যান চলাচলের উপর প্রভাব পড়তে পারে।