রাজস্থানের ৩১ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দৌসাতে স্কুল ছুটি

রাজস্থানের ৩১ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দৌসাতে স্কুল ছুটি

জয়পুর সহ রাজস্থানের ৩১টি জেলায় আজ ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। দৌসাতে ভারী বৃষ্টির কারণে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে।

জয়পুর: রাজস্থানে জয়পুর সহ ৩১টি জেলায় আজ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে গত ১৫ দিন ধরে সক্রিয় মৌসুমী বৃষ্টিপাত চলছে এবং আগামী দুই দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং জলমগ্নতার কারণে দৌসা জেলায় সকল স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশেষ করে बांसवाड़ा, ডুंगरপুর এবং ঝালাওয়াড় জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও বারান, भरतपुर, বুন্দি, চিত্তौड़গড়, কোটা, উদয়পুর এবং অন্যান্য জেলায়ও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে।

জয়পুর ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, জয়পুর, ঝুনঝুনু, কোটা এবং অন্যান্য জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। জয়পুরে মাত্র দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় জলমগ্নতার সৃষ্টি হয়েছে। সুভাষ চক, চান্দি কি টাকশাল এবং এমডি রোডে তিন থেকে চার ফুট পর্যন্ত জল জমেছে, যার ফলে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে এবং শত শত দোকান ও বাড়িতে জল ঢুকেছে।

ঝুনঝুনুতে একটি বাড়ি ধসে পড়ে, যার ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কোটাতে রেললাইনের নিচের মাটি ও পাথর ধুয়ে যাওয়ার কারণে রেল চলাচল ব্যাহত হয়েছে এবং কয়েক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দৌসা জেলায় ভারী বৃষ্টির সময় একটি পুলিশ ভ্যান একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেলে দুই পুলিশকর্মী আহত হন।

দৌসাতে ভারী বৃষ্টির কারণে স্কুল বন্ধ

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দৌসা জেলার সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন জনসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং জলমগ্ন এলাকাগুলি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছে যে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের অনেক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং স্থানীয় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, নাগরিকদের সড়ক ও রেল যোগাযোগে সম্ভাব্য প্রভাবের কথা মনে রাখতে হবে।

১৫টি জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সওয়াই মাধোপুরের ওয়াজিপুর এলাকায় ৭২ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বুন্দির হিন্দোলিতে ৭০ মিমি, ভিলওয়াড়ার শक्करগড়ে ৫৮ মিমি এবং भरतपुरের নগরে ৫৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।

সিকর, बांसवाड़ा, চিত্তौड़গড়, নাগৌর, পালি, কারৌলি এবং ঝালাওয়াড় সহ অন্যান্য জেলাগুলিতে ৩০ থেকে ৫৫ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলি স্পষ্ট করে যে মৌসুমী বৃষ্টির সক্রিয় পর্যায় এখনও শেষ হয়নি।

আগামী দুই দিন পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে

জয়পুরের আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে যে ভারী বৃষ্টিপাতের ধারা আগামী দুই দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। জনসাধারণকে বিদ্যুৎ খুঁটি, নদী ও নালার কাছাকাছি, জলমগ্ন এলাকা এবং খোলা জায়গা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন এবং রেল চলাচলে সম্ভাব্য প্রভাবের কথা মাথায় রেখে প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ তাদের সতর্কতা বাড়িয়েছে।

Leave a comment