মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে শুল্ক মামলার শুনানির আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন যে হেরে গেলে ইউরোপ, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করতে হবে এবং আমেরিকাকে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
শুল্ক: মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমানে শুল্ক নিয়ে বেশ চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি সরাসরি মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। হোয়াইট হাউসে একটি রেডিও শো চলাকালীন ট্রাম্প বলেছিলেন যে যদি তার প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টে হেরে যায় তবে তা মার্কিন অর্থনীতি এবং পররাষ্ট্রনীতি উভয়ের উপরই প্রভাব ফেলবে।
শুল্ক বিরোধের সূচনা
এই বিরোধের সূত্রপাত হয়েছিল যখন ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলির সাথে পারস্পরিক শুল্ক বা Reciprocal Tariff আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ব্যবস্থার অধীনে, এই দেশগুলিকে আমেরিকার সাথে সমান বাণিজ্যিক শর্তে কাজ করতে হয়েছিল। তবে, মার্কিন আপিল আদালত ট্রাম্পের আরোপিত অনেক শুল্ককে অবৈধ বলে বাতিল করে দেয়। এই সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ জানাতে ট্রাম্প প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে এবং আগামী দিনগুলিতে এর শুনানি হবে।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের বক্তব্য
হোয়াইট হাউসে একটি রেডিও শো চলাকালীন ট্রাম্প এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যে চুক্তি করেছে, তার অধীনে আমেরিকা প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের লাভ করতে চলেছে। ট্রাম্প দাবি করেন যে ইউরোপ, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো সকল দেশ এই ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং এখন পর্যন্ত এই চুক্তিগুলি সফলভাবে চলছে। তবে তিনি আরও যোগ করেন যে যদি সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে তবে আমেরিকাকে তার সমস্ত পুরানো বাণিজ্য চুক্তি ফিরিয়ে নিতে হবে।
সম্ভাব্য ক্ষতির সতর্কতা
ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন যে যদি আমেরিকা এই মামলায় হেরে যায় তবে দেশকে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তিনি বলেছিলেন যে শুল্ক প্রত্যাহার করা আমেরিকার জন্য ব্যয়বহুল প্রমাণিত হতে পারে এবং এর ফলে মার্কিন শিল্পগুলির ক্ষতি হবে। তিনি বলেছিলেন যে আমাদের আবার খুব ধনী হওয়ার সুযোগ আছে, কিন্তু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমেরিকা অত্যন্ত দরিদ্রও হতে পারে।
ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাস
তবে, ট্রাম্প এই বিরোধে নিজেকে দুর্বল মনে করেন না। তিনি বিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন যে তার প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টে জয়লাভ করবে। তাঁর মতে, এই মামলাটি দেশের ভবিষ্যতের সাথে জড়িত এবং এতে জয়ী হলে আমেরিকার জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হবে। তিনি বারবার জোর দিয়েছেন যে আদালত যদি তার পক্ষে রায় দেয় তবে এটি আমেরিকার "America First Policy" কে আরও শক্তিশালী করবে।