রাজস্থান এসিবি জয়পুরে ১০ বিঘা জমির নামান্তরণ খোলার বিনিময়ে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার ঘটনা ফাঁস করেছে। দালাল বিকাশ শর্মাকে ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদিকে পাটোয়ারি পলাতক।
রাজস্থান সংবাদ: জয়পুরে অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো ১০ বিঘা জমির নামান্তরণের বিনিময়ে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে। দালাল বিকাশ শর্মাকে ৩০ লক্ষ টাকা নিতে হাতেনাতে ধরা হয়েছে, অন্যদিকে পাটোয়ারি নরেন্দ্র মীনা পলাতক।
৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার ঘটনায় এসিবি-র বড় অভিযান
রাজস্থান অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো (এসিবি)-র কাছে অভিযোগ এসেছিল যে হাথোজ কালওয়াড় রোডে অবস্থিত ১০ বিঘা জমির নামান্তরণ খোলার বিনিময়ে পাটোয়ারি নরেন্দ্র মীনা এবং তার দালাল ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিল। অভিযোগকারী এই বিষয়ে এসিবি-কে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন।
অভিযোগের তদন্তের পর অভিযোগগুলি সঠিক প্রমাণিত হয়। এরপর এসিবি জয়পুর রেঞ্জের ডিআইজি অনিল কায়ালের তত্ত্বাবধানে এবং এএসপি সন্দীপ শাশ্বতের নেতৃত্বে একটি দল ফাঁদ পাতার পরিকল্পনা করে।
দালাল বিকাশ শর্মা হাতেনাতে গ্রেফতার
অভিযানের সময় পাটোয়ারির দালাল, বিকাশ শর্মা, ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়ে। এসিবি দল ঘটনাস্থল থেকে ৫ লক্ষ টাকার আসল এবং ২৫ লক্ষ টাকার ডামি নোট উদ্ধার করে।
তবে, পাটোয়ারি নরেন্দ্র মীনা ফাঁদের আঁচ পেয়ে গিয়েছিল এবং সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে অভিযুক্ত দালালকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং পুলিশ পলাতক পাটোয়ারির খোঁজ করছে।
ডিগেও এসিবি-র বড় সাফল্য
জয়পুরের এই অভিযানের পাশাপাশি, এসিবি ডিগ জেলার ডিউক মহকুমায় আরও একটি ফাঁদ পাতা অভিযান চালিয়েছে। সেখানে মহকুমা আধিকারিক (এসডিএম) দেবী সিং এবং তাঁর রিডার মুকেশ কুমারকে ঘুষ নিতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের দুজনের কাছ থেকে ৮০,০০০ টাকা ঘুষ উদ্ধার করা হয়েছে। এসিবি আধিকারিকদের বক্তব্য হল, টানা চলতে থাকা এই অভিযানগুলি থেকে স্পষ্ট যে দুর্নীতির ঘটনায় কাউকেই রেয়াত করা হবে না।