রাজস্থানের বাঢ়মেরে এক লিভ-ইন জুটির প্রেম কাহিনী এক মর্মান্তিক মোড় নিয়েছে। প্রেমিক শওকত খান ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। যুবতী তার মৃতদেহ জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
বাঢ়মের: রাজস্থানের বাঢ়মের জেলার উণ্ডু গ্রামে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। ঝাড়খণ্ড থেকে প্রেমিকের কাছে পালিয়ে আসা এক যুবতীর সামনেই তার প্রেমিক আত্মহত্যা করেছেন। দুই মাস ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর এই প্রেম কাহিনী হঠাৎ এক মর্মান্তিক মোড় নেয়। ঘটনাটি গ্রাম এবং সোশ্যাল মিডিয়া উভয় ক্ষেত্রেই মানুষকে আবেগপ্রবণ করে তুলেছে।
ঝাড়খণ্ডে ফাঁসিতে ঝুলন্ত যুবক
ঘটনাটি রবিবার সকাল প্রায় ১০টায় ঘটেছিল। ঝাড়খণ্ড নিবাসী ১৯ বছর বয়সী যুবতী রান্নাঘরে খাবার বানাচ্ছিল। সে তার প্রেমিক শওকত খান (২২) কে ডেকেছিল, কিন্তু কোনো উত্তর আসেনি। সে জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে যে শওকতের মৃতদেহ ফাঁসিতে ঝুলছে।
যুবতীটি তৎক্ষণাৎ শওকতের বড় ভাই জুম্মা খানকে ফোন করে সাহায্য চায়। চিৎকার শুনে পাড়ার লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং গেট ভেঙে মৃতদেহ নিচে নামায়, কিন্তু ততক্ষণে শওকতের মৃত্যু হয়ে গিয়েছিল। এই দৃশ্য সেখানে উপস্থিত সকলকে হতবাক করে দেয়।
প্রেমিকার সামনে প্রেমিকের মর্মান্তিক দৃশ্য
শওকতের মৃতদেহ মাটিতে রাখা হলে যুবতীটি তার কাছে দৌড়ে যায় এবং লাশ জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে শুরু করে। তার কান্নার আওয়াজ আশেপাশের মানুষের মনেও আবেগ সৃষ্টি করে। এই দৃশ্য প্রেম এবং হতাশার এক মর্মান্তিক মিশ্রণের ছবি তুলে ধরছিল।
গ্রামবাসীরা জানান যে যুবতীটি তার প্রেমিকের প্রতি সম্পূর্ণরূপে নিবেদিত ছিল। প্রায় ১০ দিন আগে যখন তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বাপের বাড়ি নিয়ে যেতে এসেছিল, তখন সে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে। যুবতী বলেছিল যে সে শওকতকে ছেড়ে কোথাও যাবে না। এই সিদ্ধান্ত এই প্রেম কাহিনীর এক সত্যিকারের এবং গভীর দিককেও তুলে ধরে।
যুবকের মৃত্যুতে পরিবার ও গ্রাম শোকে মগ্ন
শওকত তার ভাই জুম্মা খানের সাথে আসবাবপত্রের কাজ করত। ঘটনার পর পুরো গ্রাম শোকে ডুবে যায়। পুলিশ মৃতদেহটি ভিয়াড় হাসপাতালের মর্গে রাখে এবং ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।
এসআই জালারা জানান যে, একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে আত্মহত্যার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবার এবং পাড়া উভয়ই এই ঘটনায় হতবাক। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এই ঘটনা ভালোবাসার প্রকৃত অনুভূতিকে প্রকাশ করে, কিন্তু এর পরিণতি ছিল অত্যন্ত মর্মান্তিক।