রাজস্থান বোর্ড পরীক্ষা ২০২৬: চাপ কমাতে দুটি ধাপে নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি

রাজস্থান বোর্ড পরীক্ষা ২০২৬: চাপ কমাতে দুটি ধাপে নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি

রাজস্থান বোর্ড ২০২৬ সাল থেকে বোর্ড পরীক্ষার জন্য নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছে। শিক্ষার্থীরা এখন দুটি ধাপে পরীক্ষা দেবে: ফেব্রুয়ারি-মার্চে মূল পরীক্ষা এবং মে-জুন মাসে শুধুমাত্র তিনটি বিষয়ের জন্য দ্বিতীয় পরীক্ষা। এই পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের উপর চাপ কমাতে এবং ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য প্রয়োগ করা হয়েছে।

রাজস্থান বোর্ড পরীক্ষা ২০২৬: রাজস্থান সরকার বোর্ড পরীক্ষায় একটি বড় পরিবর্তন এনেছে, যার ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার। এই শিক্ষাবর্ষ থেকে, শিক্ষার্থীরা দুটি ধাপে পরীক্ষা দেবে: প্রথম ধাপটি ফেব্রুয়ারি-মার্চে মূল পরীক্ষা হবে, এবং দ্বিতীয় ধাপটি মে-জুন মাসে শুধুমাত্র তিনটি বিষয়ের জন্য আয়োজন করা হবে। শিক্ষার্থীদের উপর চাপ কমানো এবং তাদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করাই এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য।

মূল পরীক্ষায় সকল শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ

রাজস্থান বোর্ড স্পষ্ট করেছে যে, পরীক্ষার প্রথম ধাপে সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক থাকবে। প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন পাঠ্যক্রমের সম্পূর্ণ ধারণা এবং প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেয়, তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় নিয়মিততা বাড়বে এবং তাদের বোর্ড প্যাটার্ন ও সময় ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের আগে থেকেই স্পষ্ট তথ্য প্রদানের একটি প্রচেষ্টা।

দ্বিতীয় ধাপে শুধুমাত্র তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা

দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা সেই সকল শিক্ষার্থীদের জন্য হবে যারা আগের পরীক্ষায় কোনো কারণে অকৃতকার্য হয়েছে অথবা যাদের তাদের নম্বর উন্নত করার প্রয়োজন আছে। এই শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে তাদের নম্বর উন্নত করতে পারবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদেরকে নিবদ্ধ প্রস্তুতির সুযোগ দেয়, যার ফলে তারা সম্পূর্ণ পাঠ্যক্রমের পরিবর্তে যে বিষয়গুলিতে উন্নতির প্রয়োজন সেগুলির উপর মনোযোগ দিতে পারে।

'বেস্ট অফ ২' নীতির সাথে আরও ভালো ফলাফল

পরীক্ষার উভয় ধাপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য 'বেস্ট অফ ২' নীতি প্রযোজ্য হবে। এর অর্থ হলো, উভয় প্রচেষ্টা থেকে প্রাপ্ত উচ্চতর নম্বর চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য বিবেচিত হবে।

যদি কোনো শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার পরেও অকৃতকার্য হয়, তবে তারা পরের বছরের মূল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আরেকটি সুযোগ পাবে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা একটি সুরক্ষিত ব্যাকআপ বিকল্প পাবে এবং মানসিক চাপ কমবে।

শিক্ষার্থীদের উপর চাপ কমাতে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

রাজস্থান বোর্ড এবং সরকার এই পরিবর্তনকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে। শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ারের মতে, এই নতুন পদ্ধতি শিক্ষার্থীদেরকে আরও সুযোগ দেবে এবং পরীক্ষার চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও, উভয় পরীক্ষাই সম্পূর্ণ পাঠ্যক্রমের উপর ভিত্তি করে হবে, এবং শিক্ষার্থীদের সেরা নম্বর চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য বিবেচিত হবে। এই পদক্ষেপের ফলে বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল উন্নত হবে এবং শিক্ষার্থীদের শেখার ক্ষমতাকে উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Leave a comment